বিষে মৃত তাই কিশোর

কার্শিয়াঙে এসে বিষক্রিয়ায় তাইল্যান্ডের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ হোটেলের শৌচাগারে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে পরিবারের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৮
Share:

অসুস্থ: কার্শিয়াঙের হাসপাতালে ভর্তি আর এক কিশোর। নিজস্ব চিত্র

কার্শিয়াঙে এসে বিষক্রিয়ায় তাইল্যান্ডের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ হোটেলের শৌচাগারে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে পরিবারের দাবি। অসুস্থ অবস্থায় কার্শিয়াং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাইল্যান্ড থেকে আসা দলটিতে আরও দুই জন কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের প্রথমে কার্শিয়াং হাসপাতালে এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষক্রিয়ায় ওই কিশোর মারা গিয়েছে বলেই আমাদের সন্দেহ। বাকিদের চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ তবে খাবারে বিষক্রিয়া হয়েছিল না অন্য কারণে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই তা পরিষ্কার হবে বলে তিনি জানান। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জানিয়েছেন, বিষয়টি জানার পরেই পুলিশ খোঁজখবর করেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী কর বলেন, ‘‘থাইল্যান্ডের দুই জন কিশোরকে নাগাদ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে ঘন্টাখানেক পরে পরিবারের লোকেরা এসে নিজেদের দায়িত্বে রোগীদের নিয়ে গিয়েছেন।’’

কার্শিয়াঙের একটি স্কুলে ওই কিশোরকে ভর্তির কথা ছিল। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছ, মৃতের নাম কোয়েতসিরি কুনং (১৫)। বাড়ি ব্যাংককে। তাইল্যান্ড থেকে ৯ জনের দলটি মঙ্গলবার কার্শিয়াঙে এসেছে। কার্শিয়াঙের একটি অভিজাত হোটেলে উঠেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ৪ জন কিশোর রয়েছে। হোটেলের চারটি ঘরে তাঁরা রয়েছেন। মৃতের মা প্লেনরানফুফা জানিয়েছেন, কার্শিয়াঙের একটি আবাসিক স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করানোর জন্য খোঁজ-খবর করতেই তাঁরা এসেছেন। এ দিন বাথরুমে গিয়ে ওই কিশোর অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। কার্শিয়াং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন