চোপড়ার দাসপাড়ার সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব িচত্র
সন্ত্রাস হলে আর সভা নয়, মাঠে নেমে মোকাবিলা করব—উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ায় তৃণমূলের জনসভায় কংগ্রেসের উদ্দেশে এই মন্তব্য করলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। কংগ্রেস অবশ্য দাবি করেছে, সন্ত্রাস করছে তৃণমূলই।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই চোপড়ায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েতই দখল করেছে তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি, সন্ত্রাস করেই জিতেছে শাসক দল। ভোট গণনার সময়ও বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অশোক রায়। তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে। তবে দুই দলের বিরোধ এখনও চলছে। লক্ষ্মীপুরে পঞ্চায়েত প্রধান এখনও পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। গুলি-বোমায় জোপড়ায় রক্তপাতের ঘটনাও ঘটেছে। সবচেয়ে গন্ডগোল হয়েছে লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়া ও ঘিরনীগাঁওয়ে। দাসপাড়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন গোলমালে নিহত হন তৃণমূলের কর্মী খইরুল হক। এ দিন সভামঞ্চে খইরুলের স্ত্রী আকলিমা খাতুনকে দু’লক্ষ টাকা তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু।
দাসপাড়ারই মাঠে এ দিন শুভেন্দুবাবুর সভায় প্রায় হাজার দশেক তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে শাসক দল সূত্রে খবর। ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গোলাম রব্বানি-সহ এলাকার বিধায়কেরা। শুভেন্দু সেখানে বলেন, ‘‘অশোকবাবুদের তথাকথিত ছিন্নমূল মহাজোটের কয়েক জন গুন্ডাকে পুলিশ ধরেছে। তারা ভিতরে রয়েছে। বাকিদেরও ধরতে হবে পুলিশকে। গুন্ডামি চলবে না। বন্দুক কারও হাতে থাকবে না। বোমাবাজি চলবে না। যাতে খইরুল ভাইয়ের মতো একটাও মৃত্যু আর না ঘটে চোপড়া, দাসপাড়া, লক্ষ্মীপুরে। একটা দোকানও যাতে আর বন্ধ না থাকে। সন্ত্রাস করা যাবে না। সন্ত্রাস হলে আর সভা নয়। মাঠে নেমে মোকাবিলা করব।’’ তার পরেই বলেন, ‘‘আর এক ইঞ্চি না এগিয়ে হামিদুল সাহেবের কাছে আত্মসমর্পণ করুন। উন্নয়নে হাত মেলান।’’ মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানও।
কংগ্রেসের অশোকবাবু বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ জানে সন্ত্রাসকে কে করছে। কাজেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করে কোনও লাভ নেই। তাতে আখেরে ক্ষতি হবে তৃণমূলের।’’
শুভেন্দুর এ দিন কংগ্রেসের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মহাজোট করছেন। অথচ এই এলাকাতে সিপিএম এবং বিজেপির সঙ্গে মিলে কংগ্রেস গন্ডগোল করছে।’’ ৬ জানুয়ারি দাড়িভিটের মাঠে সভা করবেন শুভেন্দু।