প্রতীকী ছবি
মৃত্যুর পর ৪০ ঘণ্টা হাসপাতালের মর্গে করোনা আক্রান্তের দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ উঠল। যেখানে করোনায় মৃত্যু হলে দ্রুততার সঙ্গে দেহ সৎকারের ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেখানে কেন এত দেরি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ৬৮ বছরের এক মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিলিগুড়ি পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে চম্পাসারি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় রবিবার সকালে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দেহ দেওয়া যাবে না বলে তা মর্গে রাখা হয়। রবিবার বিকেলে রিপোর্ট পজ়িটিভ মেলে। তা প্রশাসনকে জানানো হয়। পরিবারের হাতেও দেহ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ প্রশাসনের তরফে দেহটি সৎকারের জন্য নেওয়া হয়।
হাসপাতালের তরফে জানানোর পরেও কেন এত সময় লাগল। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘সৎকারের জন্য দুটি গাড়ি রয়েছে। তবে যে শ্মশানে দাহ করা হয় সেখানে দিনে সর্বোচ্চ ৬টি দেহ সৎকার হয়। তার উপর হাসপাতাল থেকে দেহ বার করতে হলে বহির্বিভাগের সময় বাদ দিতে হবে। বিকেলেরর দিকে যখন ফাঁকা থাকে সে সময়ই করতে হয়।’’
ওই বৃদ্ধা ছাড়া করোনার সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন আরও ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়িতে। এ দিন বিকেলে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মারা যান প্রধাননগরের গুরুংবস্তির বাসিন্দা ৫০ বছরের এক মহিলা। এই হাসপাতালেই রবিবার রাতে মারা যান ইসলামপুরের বাসিন্দা ৭৭ বছরের এক ব্যক্তি। এ দিন শিলিগুড়ির প্রধাননগরের দু’টি নার্সিংহোমে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬২ বছরের এক ব্যক্তির বাড়ি শিলিগুড়ির নিচ ভানুনগরে। অপরজন ভক্তিনগরের ৭৯ বছরের এক বৃদ্ধ। করোনা সংক্রমণ নিয়ে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে মারা যান আরও এক ব্যক্তি।
রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা যান সাহুডাঙির বাসিন্দা ৭০ বছরের এক ব্যক্তি। মৃত্যুর পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ মেলে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা যান এক প্রসূতি-ও। ৩১ জুলাই তিনি ভর্তি হলে তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ মেলে। তবে পরে লালারসের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
শিলিগুড়ি শহরে এ দিন নতুন করে ২৮ জনের করোনার সংক্রমণ মিলেছে। শিলিগুড়ি মহকুমা এবং পাহাড়ে আরও ৫৮ জনের নতুন সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিরই রয়েছেন ৪২ জন।