লঙ্কা-কাণ্ডে মাথায় হাত

সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে হলদিবাড়িতে। মঙ্গলবার ছিল তেমনই দিন। এ দিন লঙ্কা বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। আর আগের দিন সোমবার দাম ছিল প্রতি কিলোগ্রাম ১০০ টাকা।

Advertisement

রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়

হলদিবাড়ি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

চমকে উঠেছেন হলদিবাড়ির বাসিন্দারা। বাজারে লঙ্কা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে শুনে। বছরের ছয় মাস হলদিবাড়ি গোটা রাজ্যে এবং উত্তরভারতে লঙ্কা যোগান দেয়। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত। এখন হলদিবাড়িতেই লঙ্কা নেই। বাসিন্দাদের নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরে থেকে আমদানি করা লঙ্কার ওপর।

Advertisement

সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে হলদিবাড়িতে। মঙ্গলবার ছিল তেমনই দিন। এ দিন লঙ্কা বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। আর আগের দিন সোমবার দাম ছিল প্রতি কিলোগ্রাম ১০০ টাকা। শনিবার এবং রবিবার লঙ্কার দাম ছিল কেজি প্রতি ৫০ টাকা। প্রতি কেজি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছরের প্রথম ছ’মাস হলদিবাড়িতে লঙ্কার দাম প্রতি কেজি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। বর্ষার সময় বাইরে থেকে লঙ্কা আমদানি শুরু হলে দামও বাড়ে। তবে সেই দামও নাগালের মধ্যেই থাকে।

হলদিবাড়ির বাবুপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রদীপ বাগ বলেন,“মঙ্গলবার হাটের দিন বাজারে গিয়ে লঙ্কার দাম শুনে আমার মাথায় হাত। আড়াইশো গ্রাম লঙ্কা কেনার বদলে পনেরো টাকা দিয়ে একশো গ্রাম লঙ্কা কিনে বাড়ি ফিরি।”

Advertisement

হলদিবাড়ির পাইকারি আনাজ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, হলদিবাড়িতে প্রতিদিন ১০০ বস্তা লঙ্কা বাজারে আসে। মঙ্গলবার বাজারে কোনও লঙ্কা আসেনি। গুদামে অল্প লঙ্কা ছিল বলে দাম বেড়ে গিয়েছিল। ব্যবসায়ী সংগঠনের মুখপাত্র আব্বাস আলি বলেন,“আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছিল। বৃহস্পতিবার একটা ট্রাক লঙ্কা নিয়ে ঢুকেছে। আশা করি এখন থেকে লঙ্কার দাম কমবে।” বৃহস্পতিবার হলদিবাড়ি বাজারে লঙ্কা খুচরো বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে।

তবে লঙ্কার দাম বাড়ার প্রভাব গ্রামে কম। কারণ গ্রামের বাসিন্দারা গাছের পাকা লঙ্কা শুকিয়ে বস্তায় পুরে রেখে দেন। বর্ষায় দাম বাড়লে সেই লঙ্কা ব্যবহার করেন। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কমল রায় বলেন, “লঙ্কার দাম বাড়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের তেমন অসুবিধা হয়নি। কারণ তারা নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তৈরি শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন