নরবলি দিতেই অপহরণের ষড়যন্ত্র

পুলিশ জেনেছে, কোচবিহারের কোনও মন্দিরের তান্ত্রিকই ওই তিন জনকে এই বিধান দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিজেদের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে নরবলি দেওয়ার জন্যই এক মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিলেন তিন ব্যক্তি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে সে কথাই জানতে পেরেছে।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, কোচবিহারের কোনও মন্দিরের তান্ত্রিকই ওই তিন জনকে এই বিধান দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তান্ত্রিকের নাম এখনও জানা যায়নি। ধৃতদের তিন জনের মধ্যে দু’জন ব্যবসায়ী। বাকি এক জন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই মন্দিরটির খোঁজ পাওয়ার পরেই বাকি রহস্যের সমাধান হবে। এমন ঘটনা আগেও সেখানে ঘটেছে কি না, তারও খোঁজ নেওয়া যাবে।

আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা জানার জন্য ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের ভাটবাড়ির কাছে দক্ষিণ পাড়োকাটার শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে শনিবার বিকেলে একটি ছোট গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিন ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখতে পেয়ে বাধা দেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরার মুখে ধৃত তিন জন জানিয়েছেন, এক তান্ত্রিকের কথায় তন্ত্র সাধনার জন্য ওই মহিলাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের মঙ্গল কামনায় জন্য ওই মহিলাকে ‘বলি’ দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে গ্রেফতার তিন জনের নাম ঝুটন সরকার, সুশান্ত অধিকারী ও সুভাষ বর্মণ। এর মধ্যে ঝুটনের বাড়ি কোচবিহারের ডাউয়াগুড়িতে। সুশান্তর বাড়ি কোচবিহারের বক্সিরহাট থানার নাগুরহাট গ্রামে। সুভাস কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অবিবাহিত। ছ’ফুটের উপরে লম্বা। ছ’বোনের মধ্যে বড়। বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শামুকতলা থানার দক্ষিণ পারোকাটা গ্রামে ওই মহিলার উপর এর আগেও আক্রমণ হয়েছে। এর আগেও তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রথমে ধারণা হয়েছিল, কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ওই মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু ওই তিন জনকে জেরা করে সন্দেহ হয়, মহিলাকে বলি দেওয়ার জন্যই তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। ওই মহিলার এক আত্মীয় মহেন্দ্র দাস জানান, ‘‘বলি দেওয়ার জন্যই অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল কিনা সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন