Dengue

জায়গা নেই রোগী রাখার

শিলিগুড়ির এসআরপি অফিসের এক এএসআই শঙ্কর দত্ত জ্বর নিয়ে সম্প্রতি মারা যান। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৩
Share:

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জিআরপি’র এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। নাম শঙ্কর যাদব (২৬)। বাড়ি বিহারে হলেও তিনি নিউ জলপাইগুড়ি এলাকাতেই থাকতেন। শিলিগুড়ির কুমারটুলি লাগোয়া এসআরপি’র অফিসে কর্মরত ছিলেন। জ্বর নিয়ে তাঁকে বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এদিন বেলা ১০ টা নাগাদ তিনি মারা যান। তাঁর রক্তের নমুনা নেওয়া হলেও সেই রিপোর্ট এখনও মেলেনি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘এখনও ওই কর্মীর মৃত্যুর কোনও খবর পাইনি। খোঁজ নিচ্ছি।’’

Advertisement

শিলিগুড়ির এসআরপি অফিসের এক এএসআই শঙ্কর দত্ত জ্বর নিয়ে সম্প্রতি মারা যান। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ওই এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যুও ঘটেছে বলে খবর। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।

সেই সঙ্গে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের কয়েকদিন রেখে জ্বর কমলে তার পর ছুটি দিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। কারণ জায়গার সমস্যা। এমনিতেই ৩৬ শয্যার পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে শতাধিক করে রোগী রয়েছেন। শিশু বিভাগেও ৪৮টি শয্যায় একশোর বেশি রোগী। প্রতিটি শয্যায় দু’তিন জন করে রোগী রয়েছেন। ওয়ার্ড, করিডর, সিঁড়ির চাতালের মেঝেতে রোগী ঠাসা। প্রতিদিনই মেডিসিন বিভাগে ১০০-১৫০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাঁদের রাখার জায়গা দিতেই ওয়ার্ডের একাংশ রোগীকে তড়িঘড়ি ছুটি দিতে হচ্ছে বলে চিকিৎসকদের একাংশই জানিয়েছেন।

Advertisement

ওয়ার্ডে জায়গা নেই অথচ ভর্তি হতে নতুন রোগী আসছে দেখলেই নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীরা গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছেন। সেই মতো চিকিৎসকদেরও বলে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের একাংশ রোগীকে ছুটি করে দিন। চিকিৎসকেরাও সেই মতো ছুটি করে দিচ্ছেন রোগীদের। প্রতিদিনই শতাধিক রোগীকে ছুটি দিতে হচ্ছে। অথবা মেডিক্যালে রেফার করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও বেলা ১২টার মধ্যে মেডিসিন বিভাগ থেকে অন্তত ৫০ জন রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়।

চিকিৎসকদের কয়েকজন বলেন, ‘‘আমরা নিরুপায়। এত রোগী আসছেন যে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রোগীদের ছুটি বা অনেক ক্ষেত্রে রেফার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে না পাঠালে এখানে এক জনও রোগী মেডিসিন বিভাগে নতুন করে ভর্তি করা যাবে না।’’

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘যাঁরা ডেঙ্গি আক্রান্ত বা খুবই অসুস্থ তাঁদের যাতে চটজলদি ছুটি না-দেওয়া হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। বাকি অনেকের জ্বর নিয়ে এলেও বাড়িতে থেকেই তারা চিকিৎসা করাতে পারেন। সেসব দেখেই ছুটি দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রোগীর ভিড় রয়েছে। প্রতিদিনই শতাধিক রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের কথাও তো ভাবতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন