কোথা থেকে এল লোক, প্রশ্ন

নিহত দুই পরিবারের সদস্যরা অবশ্য ছিলেন স্কুলের সামনে তাদের তৈরি ধর্ণামঞ্চেই। এদিন বাড়ির সামনে কালো পতাকাও লাগিয়েছিলেন তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দাড়িভিট শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৫
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

দাড়িভিট স্কুল থেকে সভা সরানো হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের ধলাই বস্তির মাঠে। তবে রবিবার সেই সভাতে এলাকার লোকেরা কতটা ছিলেন, তা নিয়েই জল্পনা ছিল এলাকাতে। দাড়িভিট বাজার চত্বরেও ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ। তবে নিহত দুই পরিবারের সদস্যরা অবশ্য ছিলেন স্কুলের সামনে তাদের তৈরি ধর্ণামঞ্চেই। এদিন বাড়ির সামনে কালো পতাকাও লাগিয়েছিলেন তারা।

Advertisement

দাড়িভিট কান্ডের পরে ওই এলাকাতে প্রথম সভা করে তৃণমূল। এদিন অবশ্য দাড়িভিট বাজারে সাধারণ বাজার করতে আসা লোকেদের ভিড় তেমন ছিল না। সম্প্রতি, দাড়িভিটে স্কুল মাঠেই সভা করার বিষয়টি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও প্রথম অবস্থা থেকেই সভা নিয়েই তীব্র আপত্তি দেখায় নিহত পরিবারের লোকেরা। দিন কয়েক আগেই দাড়িভিট মাঠে মঞ্চ করার জন্য গেলে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে। তবে দু’দিন আগেই দাড়িভিটের সভা ওই মাঠ থেকেই ধলাইবস্তি মাঠেই সভা করার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়।

যদিও তৃণমূলের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায় ওই মাঠ থেকেই সভা সরিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় তারা। মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই সভা করে তারা। যদিও এদিন সভা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময় একটা লেখা হলেও দেড়টার পরে সভা শুরু করে তৃণমূল। প্রথমে ফাঁকা থাকলেও তা নিয়েই বেশ চিন্তিত ছিল এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে অবশ্য মাঠ ভরে যায়।

Advertisement

তৃণমূলের পন্ডিত পোতা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সুবোধ মজুমদার বলেন, আমার নিজের এলাকা বুথ থেকেই নব্বই শতাংশ কর্মী সমর্থক ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন বলেন, ‘‘গ্রাম্য এলাকাতে গন্ডগোল হতে পারে তেমন গুজব ছড়ানো হয়েছিল। কিছু লোক তাতে আসেননি। মাঠে ১০ হাজার লোক ছিল।’’ যদিও তা মানতে চান না নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ‘‘ওই মাঠই এলাকার লোকেরা কেউ যাননি। বাইরে থেকে লোক এনেই সভা করেছে তৃণমূল।’’

শুভেন্দু এ দিন বক্তব্য দিতে উঠেই বলেন, ‘‘দাড়িভিটে দাঁড়িয়েই সভা করেছি। আমাকে আটকানো যাবে না। বিজেপির গুন্ডারা আটকাতে পারেনি।’’

তবে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘দাড়িভিটে ঢুকতেই পারলেন না শুভেন্দুবাবু। তার আগেই তাঁর পা আটকে গেল। এখন আমাদের দোষারোপ করছেন।’’

এলাকার বাসিন্দারা কেউ কেউ আবার গন্ডগোলের আশঙ্কা করেছিলেন এদিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির ধর্মঘটের দিন পাল্টা শুভেন্দু সভা করতে গিয়েই উত্তপ্ত হয়েছিল ইসলামপুর শহর। মিছিল থেকে দোকানগুলিতে ঢিল ছোড়া হয়েছিল সেই দিন। এদিনও তাই সেই আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন