BJP

‘সংঘাত’ এড়িয়ে অনুমতির ইঙ্গিত

প্রথমটা পুলিশের তরফ থেকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৯
Share:

—প্রতীকী ছবি

এ বারে আর সংঘাত নয়। বিজেপির রথযাত্রার সূচনা সভার অনুমিতি নিয়ে সোমবার তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির সভার জন্য দুই ধরনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। প্রথমটা পুলিশের তরফ থেকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়। দ্বিতীয়টা, রাসমেলার মাঠের অনুমতি। যা ভূমি রাজস্ব দফতরের অধীনে। সে কারণে ওই মাঠে সভার জন্য তাঁদের একটি অনুমতির প্রয়োজন হয়। দুটো মিলিয়ে একটি অনুমতি পত্র দেওয়ার কথা বিজেপিকে। ইতিমধ্যে পুলিশের তরফ থেকে প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের বিজেপির সভা নিয়ে কোনও আপত্তি, অসুবিধে নেই। সেক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া হয়েছে ভূমি রাজস্ব দফতর থেকেও অনুমতি দেওয়া হবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নন বলেন, ‘‘আমারা এই বিষয়ে আমাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছি।’’ প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার থেকে বিজেপির রথযাত্রা উদ্বোধনের কথা ছিল তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। কিন্তু ওই রথযাত্রার অনুমতি মেলেনি। তা নিয়ে মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত অমিত শাহ কোচবিহারের কর্মসূচি বাতিল করেন। এ বারে ফের রাজ্য জুড়ে দলীয় পাঁচটি জোনে পরিবর্তন রথযাত্রা করছে বিজেপি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে উত্তরবঙ্গ জ়োনের রথযাত্রার সূচনা করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেই রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল জেলায়। বিজেপির তরফে ওই কর্মসূচির কথা নবান্নে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। নবান্ন আবার বিজেপিকে চিঠি দিয়ে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের কথা জানায়। তার পরেই বিজেপির তরফে কোচবিহার জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
বিজেপির তরফ থেকে অবশ্য প্রথমদিন থেকেই জানানো হয়েছে, অনুমতি না দিলেও রথযাত্রা হবে। এ দিন কোচবিহার রাসমেলার মাঠ পরিদর্শনে যান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বসু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি মালতী রাভা। রথীন্দ্র বসু বলেন, ‘‘দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন এটা আমাদের সবার কাছে গর্বের বিষয়। তাতে বাধা দেওয়ার কথা ভাবা যায় না।’’ এ দিন বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সমর্থনে কোচবিহার শহরে সাইকেল মিছিলেও যোগ দেন রথীন্দ্র। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা সভার মৌখিক অনুমতি পেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন