পাথর বোঝাই লরি উল্টে মৃত্যু হল তিন শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার রাত ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার বালিয়াডাঙা মোড় এলাকায়। জাতীয় সড়কের উপর লরিটি উল্টে থাকায় রাতভর যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে গাড়িটি সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। একই সঙ্গে জাতীয় সড়ক বেহাল থাকার জন্য দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন মোশারফ হোসেন (১৬), সেনাউল শেখ (২৮) ও আজিরুদ্দিন শেখ (৪৫)। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা এলাকায়। তাঁরা শ্রমিকের কাজে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ওই দিন রাতে ফরাক্কার ধুলিয়ান থেকে পাথর বোঝাই করে মালদহের দিকে যাচ্ছিল একটি লরি। পাথরের উপরে সাতজন যাত্রীও ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা কাজের জন্য রায়গঞ্জে যাচ্ছিলেন। কালিয়াচকের বালিয়াডাঙা মোড় এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় জাতীয় সড়কে বড় ব়ড় গর্ত তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়ক উঁচু নিচু থাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় রাতেই তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁদেরকে আবার কলকাতা রেফার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই গাড়ির চালক ও সহকারি চালক পলাতক। এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দা মতিউল শেখ, হাবিবর রহমান বলেন, ‘‘কালিয়াচক থেকে বালিয়াডাঙা প্রায় দু’কিলোমিটার অংশ খানাখন্দে ভরে রয়েছে। এখানে ছোট খাটো দু্র্ঘটনা নিত্য দিনের হয়ে উঠেছে। অনেক সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে রাস্তার উপরে বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এর ফলে জাতীয় সড়কে যানযটের সৃষ্টি হয়।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কংগ্রেসের হামেদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সড়কের মালদহের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সন্দীপ শর্মা।