তুফানগঞ্জে আহত তৃণমূল কর্মী শম্পা দাস। নিজস্ব চিত্র।
ভোটপর্বের মাঝেই রক্ত ঝরেছিল। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত কোচবিহার। এ বার তুফানগঞ্জ মহকুমার বারোকোদালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে তৃণমূলের এক মহিলা কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
শম্পা দাস নামের ওই তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। শম্পার অভিযোগ, রবিবাতে রাতে স্থানীয় কিছু বিজেপি কর্মী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘর। সেই সময় তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বিজেপি দুষ্কৃতীরা।
বিজেপি-র পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের দলের কয়েকজন কর্মী যখন তুফানগঞ্জে বৈঠক করে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। সেই ঘটনায় গুরুতর আহত হন ৫-৬ জন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তুফানগঞ্জে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি-কে কালিমালিপ্ত করতে এই অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, তুফানগঞ্জে বারোকোতয়ালি-সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল। আর তারই জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।