Jeevan Singh

Jeevan Singh: জীবনকে ‘কাজে’ লাগাচ্ছে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের

বিজেপির অবশ্য দাবি, যে কোনও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিজেপি বদ্ধ পরিকর। সেক্ষেত্রে জীবনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলতেই পারে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ০৬:১৮
Share:

ফাইল চিত্র।

এক দিকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য সহমত, অন্য দিকে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের এলাকাছাড়া করার হুমকি। কেএলও প্রধান জীবন সিংহের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জীবনকে নিয়ে কি কোনও রাজনৈতিক খেলা চলছে, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘এক জন লোক মায়ানমার সীমান্তে বসে কী বলছেন, তা নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। আমরা বলতে পারি এলাকায় কোনও অশান্তি হতে দেব না। আর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় খামতি থাকবে না।’’

Advertisement

দিন কয়েক ধরেই শোনা যাচ্ছে, জীবন সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই মায়ানমার সীমান্ত থেকে নাগাল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারেন। সেখান থেকে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে তিনি দিল্লি যাবেন। কয়েক জন প্রাক্তন কেএলও জীবনকে স্বাগত জানাতে গুয়াহাটিতে উপস্থিত হয়েছেন। এরই মধ্যে গতকাল আবার একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন জীবন। যেখানে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দিয়েছেন। তৃণমূল অভিযোগ করেছে, ঘটনা পরম্পরা থেকে একটি জিনিস স্পষ্ট, এর পিছনে রাজনৈতিক খেলা রয়েছে। জীবনকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘কয়েক জন বিজেপি নেতার সঙ্গে জীবনের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।। উত্তরবঙ্গে অশান্তি ছড়াতে যাঁরা তাঁকে দিয়ে নানা বক্তব্য দেওয়াচ্ছেন।’’

বিজেপির অবশ্য দাবি, যে কোনও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিজেপি বদ্ধ পরিকর। সেক্ষেত্রে জীবনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলতেই পারে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘কেএলও একটি জঙ্গি সংগঠন। তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ নেই। সরকার শান্তি আনতে আলোচনা করতেই পারেন। তবে এটুকু বলতে হবে, জীবন সিংহের কিছু দাবির মধ্যে যুক্তি রয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন