ভোটে দাঁড়াতে অনীহা তৃণমূলে

তিন নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনীহা তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের। আর তাতেই কাকে প্রার্থী করা হবে তা ঠিক করতে পারছে না শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল পরিষদীয় দল। দলের দার্জিলিং জেলা কমিটির সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেই তা ঠিক করে দিতে বলবেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৯
Share:

তিন নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনীহা তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের। আর তাতেই কাকে প্রার্থী করা হবে তা ঠিক করতে পারছে না শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল পরিষদীয় দল। দলের দার্জিলিং জেলা কমিটির সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেই তা ঠিক করে দিতে বলবেন তাঁরা। শনিবার দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভায় বৈঠকের পর বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘নির্বাচনে যোগ দেব। তবে কে প্রার্থী হবেন তা দলই ঠিক করবে।’’

Advertisement

বাস্তবে, ৩ নম্বর বরোর অধীনে ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসের চার জন করে কাউন্সিলর রয়েছেন। কংগ্রেসের রয়েছেন দু’জন। সিপিএমের সমর্থনে কংগ্রেসের সুজয় ঘটকই বরো চেয়ারম্যান ছিলেন। বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সরব হলে তিনি ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরে কংগ্রেসের ওয়ার্ডগুলোতে বরাদ্দ দেন মেয়র। দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের সমর্থনেই পুরসভায় বাজেট পাশ করিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বরো নির্বাচনে কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত বামেদের সমর্থন করলে তৃণমূলের কিছু করার নেই। তা বুঝেই তৃণমূলের কাউন্সিলরদের একাংশের তরফে ওই পদে প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করা হচ্ছে। এ দিন বৈঠকে ওই বরোর তৃণমূলের চার জনের মধ্যে এক কাউন্সিলর প্রার্থী হতে অনিচ্ছুক বলে লিখিত ভাবে জানিয়েও দিয়েছেনও।

এই বোরোতে তৃণমূলের দখলে থাকা চারটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনবাবুও। তিনি ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন। তা ছাড়া আছেন শুক্লা দেব, নিখিল সাহানি, কৃষ্ণ পাল। নিখিলবাবু এবং কৃষ্ণবাবু আগেও কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিরোধী দলনেতার পদে থাকায় রঞ্জনবাবু দাঁড়াবেন না। নিখিলবাবু, শুক্লাদেবী এ দিন বৈঠকে ছিলেন না। নিখিলবাবুও ঘনিষ্ঠ মহলে না-দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘দল যা বলবে করব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement