দাড়িভিটে স্কুলের মুখেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা 

দাড়িভিটের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলে দুই কলেজ পড়ুয়া গুলিতে নিহত হন। আহত হয়েছিল স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র। ঘটনার পর থেকেই নিহতদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি, মানবাধিকার কমিশন, অমিত শাহর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

দু’দিন আগেও দাড়িভিটের চিত্রটা ছিল আলাদা। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা গেলেই তাঁদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছিল। এখন স্কুলে ঢোকার মুখের রাস্তাতেও নজরে পড়ছে তৃণমূলের পতাকা। কয়েক দিন আগেই এলাকায় টাঙানো হয়েছে সে সব। ৬ জানুয়ারি দাড়িভিট স্কুল মাঠে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভা হওয়ার কথা। কাজেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে তৃণমূল ওই এলাকায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকরা।

Advertisement

দাড়িভিটের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলে দুই কলেজ পড়ুয়া গুলিতে নিহত হন। আহত হয়েছিল স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র। ঘটনার পর থেকেই নিহতদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি, মানবাধিকার কমিশন, অমিত শাহর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে শুরু করে বিজেপির অনেক নেতাই গিয়েছিলেন এলাকায়। এবং গন্ডগোলের দু’দিন পরে নিহতদের বাড়ি গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী, বিধায়কদের।

সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। তৃণমূলের ঝান্ডা নজরে পড়ছে অনেক বাড়িতেও। সম্প্রতি নিহতের পরিবার ওই স্কুলে দ্বিতীয় বার তালা ঝোলানোর পরে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব অভিভাবকদের নিয়ে এলাকায় মিছিল করেন স্কুল খোলার দাবিতে। পরিবহণমন্ত্রীর সভা ঘোষণার পর দাড়িভিটে প্রস্তুতি সভাও করেন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল। যদিও শুভেন্দুর সভা করতে বাধা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল নিহতদের পরিবারের তরফে। তাঁদের লাশের উপর দিয়ে সভা করতে যেতে হবে বলেও নিহতদের মায়েরা হুঁশিয়ারি দেন। তাকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ তৃণমূল।

Advertisement

কানাইয়ালাল বলেন, ‘‘সব সময়ই ওই এলাকায় আমাদের প্রভাব রয়েছে। গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আমাদের দলের কর্মী। এলাকায় যাতে অশান্তি না ছড়ায় তাই আমদের কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। ব্রিগেড অভিযানের জন্য প্রতিটি এলাকাতেই সভা হচ্ছে। ওখানেও তাই হবে।’’

অপর দিকে, বিজেপির জেলার সহকারী সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘কে কোথায় সভা করবেন সেটা তাঁদের ব্যপার। জনগণ তাঁদের সঙ্গে আছেন কিনা সেটাই দেখার। বাইরে থেকে লোক এনে সভা ভরাতে চায় ওরা।’’ নিহত তাপসের মা মঞ্জুদেবী বলেন, ‘‘আমরা আগেই আপত্তি জানিয়েছিলাম। এখন দেখা যাক কী হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন