ত্রাণ বিলি নিয়ে কোন্দল

শনিবার বালুরঘাট স্টেডিয়াম থেকে বানভাসি চকভৃগু অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রিপল বিলি শুরু হয়। বহু মানুষ লাইনে দাঁড়ান। স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে একে একে নাম ডেকে ত্রিপল তুলে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ১০:৩০
Share:

ঘর হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে। নিজস্ব চিত্র

ত্রাণ বিলি নিয়ে এ বার কোন্দল শুরু হল শাসক-শিবিরে।

Advertisement

ত্রিপল বিলি নিয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিপ্লব খাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পরেই দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে বলে দল সূত্রে খবর।

তৃণমূলের বালুরঘাট পঞ্চায়েত সভাপতি প্রবীর রায় অভিযোগ করেন, বিপ্লববাবু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে ইচ্ছেমতো কাছের মানুষদের মধ্যে ত্রিপল বিলি করায় ওই ঘটনা ঘটেছে। দু’দিন আগে চকভৃগুতে গিয়ে প্রবীরবাবু বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাই সুষ্ঠুভাবে বিলিবন্টন করতে স্টেডিয়মের ঘোরাটোপ বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে বিপ্লববাবু জানান। তার বক্তব্য, দলের একাংশের উস্কানিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

শনিবার বালুরঘাট স্টেডিয়াম থেকে বানভাসি চকভৃগু অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রিপল বিলি শুরু হয়। বহু মানুষ লাইনে দাঁড়ান। স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে একে একে নাম ডেকে ত্রিপল তুলে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিকেল ৫টা নাগাদ ত্রিপল না পেয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে জনতার। স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে ভিতর ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বিপ্লববাবুকে টেনে বাইরে এনে ধাক্কাধাক্কি ও মারধোর করে বলে অভিযোগ। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কিছু ত্রিপল নিয়ে পালিয়ে যায়।

ওই ঘটনার জন্য বিপ্লববাবুকে দায়ী করেছেন দলেরই বালুরঘাট পঞ্চায়েত সভাপতি প্রবীর রায়। তাঁর অভিযোগ, বিপ্লববাবু কাছের লোকদের ত্রিপল বিলি করায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘দলেরই একাংশ উস্কে দিয়ে মানুষকে খেপিয়ে তোলায় এমন ঘটনা ঘটলো।’’

এ দিকে বালুরঘাট শহর-সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন। জলবন্দি থাকায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুরও অভিযোগ উঠেছে। ১৫ অগস্ট, চকভৃগুর বাসিন্দা আভারানী সরকার (৮০) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। কিন্তু জল ঠেলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বাড়িতেই মারা যান তিনি। একে গোপালন কলোনির বানভাসি মহিলা সবিতা দাস, মামনি সরকাররা বলেন, ‘‘৪ কেজি চালের টোকেন পেয়েও রেশন দোকানে যেতে পারছি না।’’ আত্রেয়ীর জলে টান ধরলেও শহরের খাঁড়ির স্লুইসগেট সম্পূর্ণ না খোলায় জল নামছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন