মোহনের জন্য কি নয়া পদ, গুঞ্জন 

২০১৩ সালে অবিভক্ত জলপাইগুড়ির অংশ হিসাবে আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল৷ ২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার নতুন জেলার স্বীকৃতি পাওয়ার পর দলবদলের মধ্য দিয়ে জেলা পরিষদটি দখল করে তৃণমূল৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:৪০
Share:

পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূল সার্বিকভাবে জয় পেলেও চা বলয় ও আদিবাসী অধ্যুষিত বেশ কিছু এলাকায় ভাল ফল করে বিজেপি৷

দলের পরে প্রশাসনেও গুরুত্ব বাড়তে পারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মোহন শর্মার গুরুত্ব। তৃণমূল সূত্রেরই খবর, সংরক্ষণের জেরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হতে না পারলেও, সভাধিপতির সমতুল্য কোনও একটি পদ পেতে পারেন তিনি৷ এ জন্য নতুন ওই পদটি তৈরি করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্যে রাজি নন মোহনবাবু৷

Advertisement

২০১৩ সালে অবিভক্ত জলপাইগুড়ির অংশ হিসাবে আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল৷ ২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার নতুন জেলার স্বীকৃতি পাওয়ার পর দলবদলের মধ্য দিয়ে জেলা পরিষদটি দখল করে তৃণমূল৷ সভাধিপতি হন দলের বর্তমান জেলা সভাপতি মোহন শর্মা৷ এ বার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি সংরক্ষিত ছিল৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, এই অবস্থায় প্রথম দিকে নির্বাচনে দাঁড়াতে চাননি তিনি৷ দলের তরফে তাকে সহকারী সভাধিপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে রাজি হননি তিনি৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে নির্বাচনে দাঁড়াতে রাজি হন মোহনবাবু৷

নির্বাচনে জিতে তিনি জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য হিসেবেই রয়েছেন তিনি৷ যদিও দলের জেলা সভাপতি থাকার অভিজ্ঞতার জেরে জেলা পরিষদের যে কোনও সিদ্ধান্তে তাঁর ভূমিকা রয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রেরই খবর৷ মোহনবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, কাজের সুবিধার্থেই সভাধিপতির সমতুল্য কোনও পদ তৈরি করে তাঁকে বসাতে চাওয়া হচ্ছে৷

Advertisement

এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূল সার্বিকভাবে জয় পেলেও চা বলয় ও আদিবাসী অধ্যুষিত বেশ কিছু এলাকায় ভাল ফল করে বিজেপি৷ কিন্তু বিজেপির শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত মাদারিহাটে পড়ে থেকে দলকে জয় এনে দেন মোহনবাবু৷ দলের খারাপ ফলের জন্য দলনেত্রীর কোপের মুখে পড়তে হয় একাধিক নেতাকে৷ মন্ত্রিত্ব হারাতে হয় কুমারগ্রামের বিধায়ক জেমস কুজুরকে৷

মেয়াদ শেষ হতেই জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারির জায়গায় বসানো হয় জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে৷ উল্টোদিকে কলকাতায় কোর কমিটির বৈঠক থেকে সাংগঠনিকভাবে মোহনবাবুকে কুমারগ্রামের হারানো জমি ফেরানোর দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি শিলিগুড়ি-তরাই-ডুয়ার্স ডেভলপমেন্ট অথরিটি (ফর গোর্খা কমিউনিটি)-র চেয়ারম্যান করা হয় মোহনবাবুকে। তবে এ বার নতুন পদ নিয়ে মোহনবাবু কিছু বলতে রাজি নন৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিষয়টি আমিও শুনেছি৷ তবে এখনও কোনও চিঠি পাইনি৷ তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন