Crime

বন্দুক দেখিয়ে নেতাকে গাড়িতে

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদহে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে সোমবার এমন ভাবেই ওই নেতাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

চার সঙ্গীকে নিয়ে দেখা করতে বাড়িতে ঢুকেছিলেন পরিচিত এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ওষুধ ব্যবসায়ী গৃহকর্তা তথা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সহ-সভাপতির মাথায় আচমকা বন্দুক ঠেকিয়ে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয়। চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে গাড়ি থেকে নামানোর জন্য স্বামীকে টেনে ধরেন স্ত্রী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর চোখে লঙ্কাগুড়ো ছিটিয়ে ধাক্কা দেওয়ায় মাটিতে পড়ে হাত ভেঙে যায় ওই মহিলার। দুষ্কৃতীদের গাড়ির পিছনে স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করলে, শূন্যে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদহে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে সোমবার এমন ভাবেই ওই নেতাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে আট কিলোমিটার দূরে বাসিন্দারা ধরে ফেলেন পাঁচ জন দুষ্কৃতীকে। উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল নেতাকে। তবে আরও দুটি গাড়িতে থাকা দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ভরদুপুরে ওই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাজনীতি, টাকাপয়সার লেনদেন, মুক্তিপণ নাকি অপহরণের চেষ্টার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া বাড়ির সামনে ওষুধের দোকান, প্যাথোলজি সেন্টার রয়েছে তৃণমূল নেতা জহিরুল ইসলাম ওরফে শীতলের। দুপুরে দোকানে তাঁর বাবা আব্দুল তোয়াব, স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও এক কর্মী ছিলেন। ওই সময় শীতলের সেন্টারে কয়েক জনকে নিয়ে ঢোকেন কালিয়াচকের এক পরিচিত ব্যক্তি। অভিযোগ, এর পরেই আচমকা তাঁর স্বামীকে টেনে গাড়িতে তুলতে দেখে সাবিনা ছুটে গেলে তাঁর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কিছুটা এগিয়েই ব্যবসায়ীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া গাড়ির সামনে ও পিছনে দু’টি গাড়ি এসকর্ট করতে শুরু করে। পিছনের গাড়িটি ভালুকা ফরেস্টের কাছে নয়ানজলুলিতে উল্টে গেলে দুষ্কৃতীরা নেমে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভালুকা ঢেলাই মোড়ে প্রচুর লোকজন নিয়ে পথ আটকান শীতলের এক আত্মীয়। সামনের গাড়িটি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কিন্তু শীতল যে গাড়িতে ছিলেন সেটি আটকে দেন এলাকাবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই কালিয়াচকের বাসিন্দা ও ধরা পড়া বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন