TMC Infighting

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল নেতার উপর হামলা মালদহে! অভিযুক্ত দলের লোকজনই

প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৭
Share:

হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান মহম্মদ নজিবুর রহমান। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও মালদহে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। উল্টে, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে আক্রমণ করেছেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ নজিবুর রহমানের অভিযোগ, রবিবার রাতের অন্ধকারে তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি হজরত আলি এবং ওই পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সামাউন ইসলামের লোকজনের বিরুদ্ধে। নজিবুরের দাবি, ব্লক সভাপতি পদে থাকাকালীন পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন হজরত। সেই পদ তো মেলেইনি, উল্টে টাকা ফেরত চাইতে গিয়েও হুমকির মুখে পড়তে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হজরত। উল্টে তাঁর দাবি, ‘‘আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। পঞ্চায়েত প্রধানের পদ হারিয়ে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন নজিবুর। উনিই আমার উপর আগে হামলা করেছেন।’’

Advertisement

শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করে উত্তর মালদহ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘পদ পাওয়ার জন্যও এরা টাকার লেনদেন করে! আবার তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারিও হয়। সাধারণ মানুষের জন্য এরা কী করে, তা বোঝা যাচ্ছে! মানুষ সব দেখছে। জবাব ঠিক দেবে।’’

শাসকদলের ব্লক নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, এটি গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয় নয়। দল নিজের মতো করে বিষয়টি দেখবে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘‘দলের মধ্যে কোনও দুর্নীতি বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। নজিবুর রহমান যা অভিযোগ করেছেন, তা খতিয়ে দেখে দলের মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন