দ্বন্দ্বের জেরেই কি গুলিবিদ্ধ নেতা

তৃণমূলের উপপ্রধান গুলিবিদ্ধ হওয়ায় দলেরই অর্ন্তদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মানিকচকে। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত ধরমপুর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন দলেরই উপপ্রধান শাজাহান শেখ। তার জেরেই রবিবার রাতে তাঁর উপরে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০২:০৪
Share:

তৃণমূলের উপপ্রধান গুলিবিদ্ধ হওয়ায় দলেরই অর্ন্তদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মানিকচকে। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত ধরমপুর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন দলেরই উপপ্রধান শাজাহান শেখ। তার জেরেই রবিবার রাতে তাঁর উপরে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। সোমবারও তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করে তাঁর পিঠের গুলি বার করা হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরমপুর পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। প্রধান হন নমিতা দাস এবং উপপ্রধান হন শাজাহান। অভিযোগ, প্রধানের স্বামী মহীপাল দাস দলেরই একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্প সহ একাধিক বিষয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। সেই নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধরমপুরেরই ওহেদটোলা গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান। এ ছাড়া তিনি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তাই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শাজাহানের অভিযোগ, ‘‘টেন্ডার ছাড়াই ঘনিষ্ঠদের দিয়ে কাজও করানো হয়। এই সমস্ত কিছু নিয়ে আমি বিডিও কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। যার জন্য আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে প্রধানের স্বামীর দলবল আমার উপরে হামলা চালিয়েছে। সুস্থ হলে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানাব।’’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধানের স্বামী মহীপাল বাবু। তিনি বলেন, মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আর পঞ্চায়েতের দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হলেই আসল ঘটনা সামনে আসবে। যদিও ঘটনাটি জানা নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘শুনেছি গোলমাল হয়েছে। তবে কী কারণে তা আমার জানা নেই।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement