প্রতিবাদে জুটল মার

তৃণমূলের এক শ্রমিক নেতাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধরের পর রাস্তায় ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা বলে অভিযোগ।  রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

তৃণমূলের এক শ্রমিক নেতাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধরের পর রাস্তায় ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই নেতাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার পরে তিনি পুলিশ ও নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগে অবশ্য দুই যুবক অ্যাম্বুল্যান্সটি ফেলে পালায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর, ছিনতাইয়ের মামলা রুজু হয়েছে। রবিবার রাতে এবং সোমবার দুপুরে একটি নার্সিংহোমে ওই নেতার চিকিৎসা করানো হয়েছে। তাঁর মাথায়, মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Advertisement

পুলি‌শ জানিয়েছে, ওই নেতার নাম বিশ্বজিৎ দে। তিনি মাটিগাড়া-২ এলাকায় আইএনটিটিইউসি নেতা হিসাবে পরিচিত। তার স্ত্রী গৌরীদেবী মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। রাতেই বিশ্বজিৎবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তিন দফায় তল্লাশি চালালেও অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। দু’জনের মধ্যে একজন অ্যাম্বুল্যান্সটির মালিক। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সটি আটক করা হয়েছে। এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের বাড়ি ঠিকনিকাটা ও পেলকুজোতে। মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে থাকে তাদের বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। ওইদিন দুপুরে আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে বাগডোগরার দিকে পিকনিকে গিয়েছিল তারা। সন্ধ্যা নাগাদ ফেরার পথে শিবমন্দির রেলগেটে হুটার বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর সময় বিশ্বজিৎবাবু প্রতিবাদ করায় তাঁকে ওই যুবকরা গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

বিশ্বজিৎবাবু মোটরবাইক নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটির পিছু নেন। অভিযোগ, তখনই অভিযুক্তরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওই শ্রমিক নেতাকে মারধর শুরু করে। তার পরে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। গাড়ির মধ্যে তাঁর সোনার হার ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পরে নেতাকে চিনতে পেরে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। এমনকি, তারাও তৃণমূল করে বলে পাল্টা শাসায়।

বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘ছেলেগুলির এত সাহস কোথা থেকে এল কে জানে। ভালভাবে গাড়ি চালাতে বলায় এমন করবে ভাবতেই পারিনি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ এ দিন দুপুরে হিমাঞ্চল বিহার লাগোয়া নার্সিংহোমে ওই নেতার চিকিৎসা করানো হয়েছে। সেখানে ছিলেন আঠারোখাই এলাকার তৃণমূল নেতা দুর্লভ চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। গাড়ি চালানো নিয়ে বিশ্বজিতেরও সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাতে এ ভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করবে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন