মৃত মজিবর মিয়াঁ।
তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল কোচবিহারে। শুক্রবার রাতে দিনহাটার সিতাইয়ে এই ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মৃত ওই তৃণমূলকর্মীর নাম মজিবর মিয়াঁ (৫৫)। দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া এলাকায় যান। জগদীশবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘ওই রাতে কালীরহাট বাজার এলাকায় তৃনমূল যুব লোকেরা অস্ত্রশস্ত্র-সহ বেশ কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঢোকে। তা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে ধরে। ওই দুষ্কৃতীরা এলাকার এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে মজিবর এগিয়ে গেলে তাঁর মাথায় গুলি করা হয়।’’
ওই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে বোমাবাজি করতে করতে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলেও তিনি জানান। স্থানীয়েরা আহতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জগদীশবাবুও আরও অভিযোগ, ‘‘এর আগেও ওই এলাকায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা চালায় এই যুব-কর্মীরা। আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকেও। গোটা ঘটনা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’ রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা পুলিশকে বলা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের কোনও দল হয় না।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই ওই এলাকায় তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তার জেরে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য আবু মিয়াঁর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। তবে সিতাইয়ের ঘটনায় যুব তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি, সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যারা যুক্ত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’’
দ্বিতীয় দফার বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেষ্টা হচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসন দাবি করেছে। তার পরেও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী ধরনের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’