কাটমানি নিয়েছেন? প্রশ্ন নব্বইকে

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আপনি কি কাটমানি নিয়েছেন— নব্বই সিংহের কাছে এ ভাবেই জানতে চাইলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দল সূত্রে দাবি, কাটমানির অভিযোগে নাম জড়ানো নেতাকে তলব করে তাঁর জবাব শুনতে চেয়েছে দল। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে জলসেচের জন্য বিলি করা সৌরশক্তি চালিত পাম্পসেট, পাম্প হাউস প্রকল্প পাইয়ে দিতে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির স্বামী তথা তৃণমূল নেতা নবকুমার সিংহ বা নব্বই সিংহের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গ্রাহকদের থেকে ১২-১৫ হাজার টাকা করে কাটমানি নিয়েছেন তিনি। জেলা তৃণমূলের নির্দেশে ওই নেতার কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন ব্লক নেতারা। সোমবার চিঠি পাঠিয়ে নব্বই সিংহকে বলা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে পার্টি অফিসে গিয়ে জবাব দিতে।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাটমানি চেয়ে বেশ কিছু নেতার বাড়ির সামনে ধর্না-অবস্থানও হয়। সে সব ক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে তেমন পদক্ষেপ হয়নি বলে কর্মীদের একাংশের দাবি। গত সপ্তাহে ফের কাটমানির অভিযোগ ওঠার পরই দলের জেলা নেতৃত্ব সক্রিয় হয়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দলের জেলা নেতৃত্বে রদবদল হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব এসে দলে স্বচ্ছদের সামনে আনা হবে বলে ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে রয়েছে পিকে টিমের নজরদারিও।

Advertisement

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক চন্দন ভৌমিককে জেলার কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পিকে-র টিমের সঙ্গে দলের সমন্বয় করার ভার দেওয়া হয়েছে চন্দনকে। বেরুবাড়ির অভিযোগ নিয়েও সক্রিয় তিনি। কাটমানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে দলের তরফেও প্রাথমিক খোঁজখবর করা হয়। তার পরেই চিঠি পাঠানো হয়েছে নেতাকে। চন্দন বলেন, ‘‘যে নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর কাছেই জবাব চাওয়া হয়েছে। তিনি সন্তোষজনক জবাব না দিলে দল বিষয়টি দেখবে। জেলা কমিটির নির্দেশেই পদক্ষেপ হয়েছে।”

সূত্রের খবর, দফতরের মন্ত্রীর কাছেও এই অভিযোগ গিয়েছে। জলসম্পদ দফতরের থেকে জলসেচে কৃষকদের সুবিধে দিতে বিনে পয়সায় সৌরশক্তির প্যানেল, পাম্প হাউস তৈরি করে পাম্পসেট দেওয়া হয়। পাম্প দিয়ে জল তুলে আশপাশের জমিতে দিতে পারেন কৃষকেরা। এক একটি প্রকল্পে খরচ হয় প্রায় আট লক্ষ টাকা। বেরুবাড়িতে কমপক্ষে ত্রিশটি প্রকল্প হয়েছে। কৃষকদের থেকে এর জন্য কোনও টাকা নেওয়ার কথা নয়। যদিও তৃণমূল নেতা প্রকল্প পাইয়ে দিতে কৃষকদের থেকে ১২-১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যাঁর নামে অভিযোগ সেই নব্বই সিংহের অবশ্য দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন