ওয়ার্ডে ঢোকার দাবি নেতার, মারপিট

উত্তর দিনাজপুরের সুরুণ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বেলাল ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা দিলওয়ারা বেগমের স্বামী। মারপিটের জেরে বেলালের বাঁ চোখের নিচের অংশ কেটে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০২:২৫
Share:

আহত: বিলাল আহমেদ

ওয়ার্ডে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে তুমুল হাতাহাতিতে জড়ালেন এক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার নাম বেলাল হোসেন।

Advertisement

উত্তর দিনাজপুরের সুরুণ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বেলাল ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা দিলওয়ারা বেগমের স্বামী। মারপিটের জেরে বেলালের বাঁ চোখের নিচের অংশ কেটে গিয়েছে। সুকেশকুমার মন্ডল নামে হাসপাতালের ওই নিরাপত্তারক্ষীর বুকে ও কোমরে চোট লেগেছে। ওই ঘটনার পর বেলাল ওই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপার ও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি, সুকেশও ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপারের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।

হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডলের দাবি, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। রায়গঞ্জ থানার আইসি অভিজিৎ সরকারের দাবি, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, পেটের সমস্যা শুরু হওয়ায় গত মঙ্গলবার বেলালের বাবা জামালুদ্দিন আহমেদকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ দিন সকালে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেলা ১০টা নাগাদ বেলাল তাঁর বোন সুকিয়াকে নিয়ে বাবা জামালুদ্দিনকে আনার জন্য হাসপাতালের শিশুবিভাগের সামনের গেট দিয়ে ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় বেলালের সঙ্গে সুকেশের বচসা হয়। বেলালের দাবি, ‘‘আমি আমার বোনকে নিয়ে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করতেই সুকেশ গেটের সামনে আমাকে আটকান। বাবাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ওয়ার্ডে যাওয়া দরকার বলতেই সুকেশ ঘুষি মেরে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি তাকে মারিনি।’’

সুকেশের পাল্টা দাবি, বেলা ১১টা থেকে ১২টা ও বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগীদের দেখার জন্য ওয়ার্ডে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট রয়েছে। ভিজিটিং আওয়ার্স না থাকায় আমি বেলালবাবুকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলি। সেইসময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করে আমাকে গালাগালি করে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে মারধর করেন। আমি তাঁকে মারিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন