পিকনিকের আসরে মদ খেয়ে বিবাদের জেরে সহকর্মীদের হামলায় খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর অঞ্চলের বিসরাইল হাটখোলায় ওই ঘটনা। বল্লম ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে সফিউদ্দিন মিঁয়া (৪০) নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
জেলাপুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিহত ব্যক্তিকে কিছু দিন আগে খুনের অভিযোগে কুশমন্ডি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এ দিন মদের আসরে গলমালের জেরে তিনি খুন হন। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জল্লুর মিঁয়া নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায়ের অনুগামী স্থানীয় নেতা মজিরুদ্দিন মণ্ডলের গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন সফিউদ্দিন। মজিরুদ্দিন সরাসরি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের কথা না বললেও তাঁর অভিযোগ, ‘‘হালে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া তিন অভিযুক্ত খুনের সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তদের পিছনে বড় মাথা রয়েছে। পুলিশকে তদন্ত করে মদতদাতাদের খুঁজে বের করতে বলেছি।’’
বড়দিন উপলক্ষে এ দিন হাটাখোলায় পিকনিকের আসর বসান চার তৃণমূল কর্মী। নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সে সময় ধৃত জল্লুর ছাড়াও মজিবুর রহমান এবং মিজানু মিঞা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সফিউদ্দিনের পেটে বল্লম ঢুকিয়ে রামদা দিয়ে তাকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত হামলাকারীরা আবার বিপ্লব মিত্রর অনুগামী তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান নুরুল ইসলামের গোষ্ঠীর লোক বলে জানা গিয়েছে।
নুরুল ইসলাম অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, নেশা করে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া থেকেই ওই ঘটনা।