তরজায় শাসক-বিরোধী

কাঠ নিয়ে তপ্ত জেলার রাজনীতি

জেলায় বছরভর নানা সময়ে আলিপুরদুয়ারে বেআইনিভাবে কাঠ পাচার কিংবা বেআইনি কাঠ কারবারের ঘটনা সামনে আসে৷ কিন্তু শুক্রবার এমন একটি ঘটনায় খোদ ফালাকাটার বিধায়কের ভাইপোর নাম জড়ানোয় জেলায় রাজনীতির পারদও চড়ছে৷

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

অভিযান: এই মিল থেকেই উদ্ধার হয় কাঠ। নিজস্ব চিত্র

শীতকাল৷ রোদের তাপ এখন ‘কাঠ ফাটানোর’ মতো নয়। তবে সেই কাঠ নিয়েই তাতছে আলিপুরদুয়ারের রাজনীতি।

Advertisement

জেলায় বছরভর নানা সময়ে আলিপুরদুয়ারে বেআইনিভাবে কাঠ পাচার কিংবা বেআইনি কাঠ কারবারের ঘটনা সামনে আসে৷ কিন্তু শুক্রবার এমন একটি ঘটনায় খোদ ফালাকাটার বিধায়কের ভাইপোর নাম জড়ানোয় জেলায় রাজনীতির পারদও চড়ছে৷ শুক্রবার পশ্চিম ফালাকাটার একটি কাঠের মিলে চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার করে বন দফতর। ওই মিলের মালিক ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারীর ভাইপো কমলেশ অধিকারী বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ঘটনায় শাসক দলের জেলা শীর্ষ নেতাদের যোগসাজসে অভিযোগ তুলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন বিরোধী বিজেপি ও বাম নেতারা৷

জেলা বামফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা অপরাধীদের সরকার এই রাজ্যে চলছে৷ আলিপুরদুয়ার জেলাও যার ব্যতিক্রম নয়৷ জেলায় প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে এমন শাসক দলের নেতাদের মাথায় হাত থাকার ফলেই এখানে এমনটা হচ্ছে৷ আমরা চাই এ বার প্রভাবশালীদের মুখোশ খুলে দেওয়া হোক৷” বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার অভিযোগ, “শাসক দলের জেলা শীর্ষ নেতাদের এই দুর্নীতি মানুষ জেনে গিয়েছেন৷ তবুও আমরা বিষয়টি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করব৷”

Advertisement

এর আগেও আলিপুরদুয়ারে কাঠ-পাচারে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের। কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারির গ্রাম থেকেই চন্দন কাঠ উদ্ধারের অভিযোগ ওঠে। এ দিন উইলসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি৷ এসএমএস করা হলেও উত্তর দেননি তিনি। অনিলবাবু অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ভাইয়ের ছেলে কিছু করলে আমার দায় হবে কেন?’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি মোহন শর্মা সাফ বলেন, ‘‘এ রাজ্যে আইন যে আইনের পথেই চলছে, তা বন দফতর ও পুলিশের ভূমিকাতেই পরিষ্কার৷ আমাদের সরকার দলমত নির্বিশেষে কাজ করে৷ ফলে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, তাকে ধরে নিয়ে অন্য কাউকে আক্রমণ করা কখনই কারও উচিত নয়৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন