প্রধান-সহ বিজেপি, সিপিএম এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদের চার জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নকশালবাড়ির মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের দখলে চলে এল। বুধবার নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জেমস কুজুরের হাত থেকে পতাকা নেন তাঁরা। জবর দখলের রাজনীতি, দল ভাঙিয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের তৃণমূলে সামিল করানোর প্রতিবাদে এ দিন মিছিল করে বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দেন বামেরা। অনৈতিক ভাবে দল ভাঙানো এবং দল ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রতিবাদে ‘ধোলাই হবে, পেটাই হবে’ স্লোগান দিয়ে তাঁরা পথে নামেন। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বিরোধী দলের সদস্যদের অনেকেই আমাদের দলে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’’ মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার জানিয়েছেন, তিনি বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন।
১৮ আসনের মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮টি ছিল তৃণমূলের দখলে। বাকি আসনগুলির মধ্যে বিজেপি’র টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার তিন জন, তা ছাড়া সিপিএমের তিন জন, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ-সহ নির্দলের ২ জন, আরএসপি এবং কংগ্রেস থেকে এক জন করে জেতেন। তৃণমূল বিরোধীরা জোট করে পঞ্চায়েত দখল করে। প্রধান হন বিজেপি’র টিকিটে জিতে আসা জিজেএমএম নেত্রী লক্ষ্মী প্রধান। এ দিন তিনি এবং তাঁর দলের ছায়া রেজাল, বিকাশ পরিষদের প্রমীলা টোপ্পো, সিপিএমের জোয়াকিম কেরকেট্টা তৃণমূলে যোগ দেন।
নকশালবাড়ির সিপিএম নেতা গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘বিরোধীদের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি জবর দখল করা নিয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁরা দল ভাঙাচ্ছেন। আমরাও চুপ করে বসে থাকব না। প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’’ তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ব্লক নেতৃত্ব জানান, তাঁরা কাউকে প্রস্তাব দিচ্ছেন না। কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তবেই তাঁরা তাঁকে দলে নেওয়ার কথা ভাবছেন। লক্ষ্মী লামা, প্রমীলা লাকড়া, জোয়াকিম কেরকেট্টারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।