রাজধানীর পথ ছাড়ল তৃণমূল

পরে তৃণমূল সমর্থকরা রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে রাজধানী না যাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। দলীয় সূত্রের খবর, রেল অবরোধের ঠিক আগেই কলকাতা থেকে ফোনে ওই আন্দোলন না করার পরামর্শ দেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৬
Share:

বিক্ষোভ: নিউ কোচবিহার স্টেশনে তৃণমূলের আন্দোলন। মেখলিগঞ্জ সহ নানা জায়গায়ও তৃণমূল এ দিন মিছিল ও বিক্ষোভ দেখায়। নিজস্ব চিত্র

লাঠির মাথায় পতাকা হাতে স্টেশনে জমা হয়েছিলেন তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। তখন সকাল সাড়ে ১০টা। রাজধানী এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় লাইন ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে পড়লেন সবাই। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজধানী স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই অবরোধ শুরু করা হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ট্রেন অবরোধ থেকে পিছিয়ে যান তৃণমূল সমর্থকরা। মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটল নিউ কোচবিহার স্টেশনে।

Advertisement

পরে তৃণমূল সমর্থকরা রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে রাজধানী না যাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। দলীয় সূত্রের খবর, রেল অবরোধের ঠিক আগেই কলকাতা থেকে ফোনে ওই আন্দোলন না করার পরামর্শ দেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আন্দোলনের জেরে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধে হোক, এটা আমরা চাই না। তাই রেল অবরোধ বা সড়ক অবরোধের মতো আন্দোলন হবে না। মিটিং-মিছিলেই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রাখা হবে।” তিনি জানান, কোচবিহারেও অবস্থান শুরু করেছেন তৃণমূলকর্মীরা। তৃণমূল নেত্রী যত দিন অবস্থান চালাবেন, তত দিন জেলার বিভিন্ন স্থানেও অবস্থান চলবে। রেল অবরোধে থাকার কথা ছিল তৃণমূলের কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি পরিমল বর্মণের। তিনি বলেন, “নেতৃত্বের নির্দেশে রেল অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আমরা মিটিং-মিছিলের মধ্যে দিয়েই প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলি। দল যেমন নির্দেশ দেবে তেমন ভাবেই প্রতিবাদ চলতে থাকবে।”

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অবস্থানে বসেন। এরপরেও রাজ্যের নানা জায়গায় আন্দোলনে নামেন তৃণমূলকর্মীরা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেল অবরোধের ঘটনাও ঘটে। যার ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই। কেন ওই ঘটনায় জেরে সাধারণ মানুষ হয়রানির মধ্যে পড়বেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিরোধী দলগুলিও ওই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। এরপরেই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব দলের নেতাদের বার্তা দেন।

রেলের যাত্রীদের মধ্যেও অনেকে জানান, আন্দোলন হতেই পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধের মধ্যে না পরেন তা দেখা উচিত, বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বন্‌ধ, অবরোধ বিরোধী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন