উস্কানি দিলে তাড়িয়ে দেবেন, মত সৌরভের

বিজেপি কর্মীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলে তাদের এলাকা থেকে তাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের জেলার সভাপতি। বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠকে এ কথা মঞ্চ থেকে বলেন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৯
Share:

বিজেপি কর্মীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলে তাদের এলাকা থেকে তাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের জেলার সভাপতি। বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠকে এ কথা মঞ্চ থেকে বলেন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। সম্প্রতি সোনাপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। জেলার রাজনীতিকেরা বলছেন, এখন সৌরভবাবুর এই বক্তব্যে স্পষ্ট, আগামী ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা মূল বিরোধী হিসেবে দেখছেন বিজেপিকে।

Advertisement

এ দিন আলিপুরদুয়ারে একটি হলঘরে ‘মোদী হটাও দেশ বাঁচাও’ একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী জেমস কুজুর, সাংসদ দশরথ তিরকে, বিধায়ক অনিল অধিকারী, যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সমর ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা। অনুষ্ঠানের শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌরভবাবু যুব সভাপতি সমর ভট্টাচার্য ও ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতিকে ছাত্র সংসদ ভোট যৌথ ভাবে করার নির্দেশ দেন।

সৌরভবাবু বলেন, “নোট বন্ধ নিয়ে সমস্যায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। নেত্রী দেশ জুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন বিরোধীদের নিয়ে। আমরাও জেলা জুড়ে আন্দোলনের পথে হাঁটছি।” বিজেপি নেতা কর্মীদের তাড়ানোর প্রসঙ্গে বলেন, “গত রবিবার সোনাপুরে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেছেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাঁদের উস্কানো হচ্ছে। সে জন্য বলেছি বিজেপি নেতারা উস্কানি দিলে তাঁদের তাড়িয়ে দেবেন।”

Advertisement

সৌরভবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, “সম্প্রতি যে ভাবে সোনাপুরে বিজপিকর্মীদের মারধর করা হল, তা অগণতান্ত্রিক। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে বিজেপির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই প্রকারন্তরে বিজেপিকে আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।’’

আগামী ৩০ জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যুব ও ছাত্রদের এক সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। গত বার জেলার সাতটি কলেজে তাঁরা জিতেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন