মৃদুলে উচ্ছ্বাস পুরনো কর্মীদের

মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের নতুন আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি হিসাবে মৃদুল গোস্বামীর নাম ঘোষণা করেন দলের পর্যবেক্ষক অরূপ রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

বদলের-পরে: জলপাইগুড়ির পূর্ত দফতরের বাংলোয় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দুই নতুন জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী এবং কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। নিজস্ব চিত্র

মৃদুল গোস্বামী সভাপতি হতেই উচ্ছ্বাসে ভাসতে শুরু করলেন আলিপুরদুয়ার জেলার পুরানো তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বুধবার বিকালে মৃদুলবাবু জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারে ফেরার আগেই দলের জেলা পার্টি অফিস কার্যত পুরোনো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দখলে চলে যায়। পুরোনো দিনের কর্মী-সমর্থকদের সংবর্ধনার জেরে রাস্তায় বারবার করে মৃদুলবাবুর গাড়ি আটকে যায়। এরই মধ্যে জেলায় তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করাতে মৃদুলবাবু আদৌ সব গোষ্ঠীর, বিশেষ করে নতুন নেতাদের সবার সহযোগিতা পাবেন কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের নতুন আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি হিসাবে মৃদুল গোস্বামীর নাম ঘোষণা করেন দলের পর্যবেক্ষক অরূপ রায়। মৃদুলবাবু তৃণমূলের পুরানো নেতা বলে পরিচিত। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন। কখনও অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলায় দলের আহ্বায়ক, কখনও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্বও ছিলেন মৃদুলবাবু।

তবে ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই দলের অন্দরে নতুন তৃণমূল নেতাদের দাপট বাড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার জেলার স্বীকৃতি পাওয়ার কিছু সময় পর থেকেই তৃণমূলে নতুন নেতাদের প্রভাব আরও বেড়ে যায়। কোণঠাসা হয়ে পড়তে থাকেন পুরোনো নেতা-কর্মীদের অনেকেই। তাঁদের একটা বড় অংশও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ।

Advertisement

এরই মধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মৃদুলবাবুকে দলের জেলা সভাপতি ঘোষণা করতেই কার্যত উচ্ছ্বাসে ভাসতে শুরু করেন তৃণমূলের পুরানো দিনের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে দলের এই ঘোষণার পর থেকেই পুরানো নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়িতে ছিলেন মৃদুলবাবু। বুধবার দুপুরে ময়নাগুড়িতে দলের একটি সভায় যোগ দেন তিনি। এরপর আলিপুরদুয়ারে রওনা হন। তার আগে থেকেই বক্সা-ফিডার রোডে তৃণমূলের জেলা কার্যলয় পুরানো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দখলে চলে গিয়েছিল। পার্টি অফিসের সামনে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় থাকায় রাস্তার একদিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া বীরপাড়া চৌপথী পর্যন্ত পৌঁছনোর আগে বিভিন্ন জায়গায় দলের পুরোনো দিনের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। বীরপাড়া চৌপথী থেকে মিছিল করে মৃদুলবাবুকে জেলা পার্টি অফিসে নিয়ে আসেন কর্মী-সমর্থকরা।

সভাপতি হওয়ার পর মৃদুলবাবু জেলা পার্টি অফিসে প্রথমবার এলেও এদিন বিকালে অবশ্য দলের অন্দরে নতুন তৃণমূলের নেতা-কর্মী হিসাবে পরিচিতদের হাতে গোনা কয়েক জন বাদে কাউকে দেখা যায়নি। তাই সব গোষ্ঠীর নেতাদের সহযোগিতা পাবেন কি না তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সবাই পাশে থাকবেন বলেই ধারণা মৃদুলবাবুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন