জয়ের উল্লাস। — নিজস্ব চিত্র
অধিকাংশ আসনে টিএমসিপি-র প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ১০৩টি আসনের মধ্যে সোমবার তাই নির্বাচন হয় ৯টি বিভাগের ২৫টি আসনে। সেগুলির একাংশের তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়।
এ দিন ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থাও করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠী তরফে বহিরাগতরা এ দিন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ান। তাদের মধ্যে টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি নির্ণয় রায়, দলের যুব নেতা সঞ্জয় পাল, মাটিগাড়ার তৃণমূল নেতারাও অনেকে ছিলেন। দেখা গিয়েছে প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কেও। তিনি পাস করে বেরিয়ে গেলেও ক্যাম্পাসে থেকে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে বিরোধী এবং টিএমসিপি-র অপর একটি গোষ্ঠীর তরফে অভিযোগও উঠেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ টিএমসিপি গঠন করলেও মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের গঠন নিয়ে তাঁদের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, ‘‘বহিরাগতরা ঘুরছে বলে এ দিন কোনও অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নিতাম।’’ তিনি জানান, ১০৩টি আসনের মধ্য ১০টি আসন রয়েছে জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের। সেখানে সব আসনই বিনা প্রতিদ্বিতায় প্রার্থীরা জিতেছে। শিবমন্দিরের মূল ক্যাম্পাসে ৫৮টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বিতায় জিতেছেন। এ দিন ২৫টি আসনে ভোট হয়।
নির্ণয় রায়, সঞ্জয় পালরা জানান, ছাত্র সংসদের ভোটের প্রয়োজনেই এ দিন তাঁরা ক্যাম্পাসে রয়েছেন।
ছাত্র পরিষদের দাবি, তাঁরা তিনটি আসনে এদিন জিতেছেন। তাদের অভিযোগ, বহিরাগত, কর্মী ইউনিয়ন এবং শিক্ষকদের একাংশও তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। বাংলা বিভাগে কোনও ছাত্র সংগঠনের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। সেখানে দুই শিক্ষকের পছন্দের পড়ুয়াদের দুটি প্যানেল ৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বলে বিরোধীদের দাবি।