—ফাইল চিত্র।
সামনের লক্ষ্য ব্রিগেড হলেও, মাসকয়েক পরের লক্ষ্য লোকসভা ভোট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য ফালাকাটাকে বেছে নেওয়ার পেছনে এটাই তৃণমূলের কৌশল বলে দাবি দলেরই নেতাদের একাংশের।
আজ সোমবার, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলা কমিটির যৌথ সভা হচ্ছে ফালাকাটায় আগামী ১৯ জানুযারির ব্রিগেড সমাবেশে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিতেই এই সভা হচ্ছে বলে সভার পোস্টার, ফ্লেক্সে লেখা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের দাবি, তবে সভাস্থল বাছা হয়েছে আগামী লোকসভা ভোট মাথায় রেখে।
সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে দুই জেলারই চা বলয়ে বিজেপির ফল ভাল বলে মনে করেন তৃণমূল নেতারাই। আলিপুরদুয়ারের চা বলয়ে ভোটের পর থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূল। সেই জোরে কোথাও যেন রাজবংশী এবং কৃষিজীবীদের ভোট হাতছাড়া না হয় সে মাথাব্যাথাও রয়েছে। ধূপগুড়ি-ফালাকাটার কৃষি বসয়েও গত পঞ্চায়েতে পদ্মের কুড়ি-ফুল সবই দেখা গিয়েছে। ফালাকাটা ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টিতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের ছিল ২০টি আসন, বিজেপির ১৪টি। বোর্ড গঠনের সময় বিুজেপির জেতা সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিলেও, অস্বস্তি যাচ্ছে না শাসকদলের। সে কারণেই অভিষেকের সভার জায়গা বাছা হয়েছে কৃষি বলয়কে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলার সভা, ফালাকাটা দুই জেলার মাঝামাঝি তাই সেখানে সভা হবে। কে কি জল্পনা করল তা নিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না, আমরা মানুষের সঙ্গে এবং মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। আর কোনও বিষয়ে মন্চব্য করার প্রয়োজন নেই।”
শুধু বিরোধীদের থেকে মাটি কেড়ে নেওয়া নয়, দলের নানা পাঞ্জা কষাও চলছে অভিষেকের সভাকে ঘিরে। কোচবিহারের মতো জলপাইগুড়ি জেলাতেও তৃণমূলের জেলা সংগঠনের সঙ্গে যুব সংগঠনের ইতিউতি গোলমাল চলছে। অভিষেক যুব তৃণমূলের সভাপতি। সভার আয়োজন নিয়ে জেলা এবং যুব দুই সংগঠনই নিজেদের কর্তৃত্ব দেখাতে ততপর। কোনও সংগঠনের ডাকে কত ভিড় হয়েছে অভিষেকের কাছে তা তুলে ধরাই মূল এবং যুব নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সোমবার ফালাকাটার মাঠ ঐতিহাসিক যুব সমাবেশ দেখবে। সারা জেলা থেকে কয়েক হাজার যুব রবিবার থেকেই ফালাকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে শুরু করেছেন।”