রাস্তা আটকে চাঁদা কেন, ক্ষোভ টোটো ইউনিয়নের

পুজো কমিটির এক যুবক বড় গাড়ির চালকের উদ্দেশে বলে উঠলেন, ‘‘একশো টাকা চাঁদা দেন। তার পড়েই গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২০
Share:

দাবি: রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা। জলপাইগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র

সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে চাঁদার জুলুম শহর ও শহরতলী এলাকা জুড়ে। টোটো, বাস, ট্রাক পথে নামলে ছাড় পায়নি কেউ। জলপাইগুড়ি শহর ও শহরতলী এলাকায় বিভিন্ন প্রান্তে একই দৃশ্য। প্রশাসনের কোনও ভুমিকাই নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ টোটো ইউনিয়নের মধ্যে।

Advertisement

শহরের পাণ্ডা পাড়া এলাকায় রাস্তায় মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েক জন যুবক। হাতে চাঁদার রশিদ ও কলম। গাড়ি, টোটো সামনে এলেই পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন যুবকেরা। এরপর চালকের হাতে রশিদ দিয়েই চলছে চাঁদার জুলুম। পুজো কমিটির এক যুবক বড় গাড়ির চালকের উদ্দেশে বলে উঠলেন, ‘‘একশো টাকা চাঁদা দেন। তার পড়েই গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।’’

এই ভাবেই সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শহর ও শহরতলী এলাকায় চলছে চাঁদার জুলুম। শহরের বউ বাজার, পাণ্ডা পাড়া, তিন নম্বর ঘুমটি, তোড়ল পাড়া, মহামায়া পাড়া ছাড়াও রানী নগর, রংধামালি এলাকায় রাস্তা আটকে চলছে চাঁদার জুলুম বলে অভিযোগ। কোনও কোনও এলাকায় রশিদ না দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। সব এলাকায় রাস্তা আটকে ছোট বড় সব ধরনের গাড়ি থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, যে সকল যুবকেরা পুজোর নামে চাঁদা আদায় করছেন তাঁদের কেউই পড়াশোনো করেন না। পুজো কমিটির এক যুবক বলেন, ‘‘আমরা টোটো ও বড় গাড়ি থেকে দশ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছি সরস্বতী পুজোর জন্য। কোনও রকম জোড় জুলুম করছি না।’’

Advertisement

এদিকে আইএনটিটিইউসি টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক বাপ্পা দে সরকার বলেন, ‘‘চাঁদার জুলুমে টোটো চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা পুজো করছেন তাঁরা কেউ পড়াশোনা করে না। এক প্রকার জোড় করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এই ভাবে চলা যায় না। পুলিশকে কাছে অভিযোগ জানাব।’’

কোতোয়ালি থানায় আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত চাঁদার জুলুম নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি রাস্তা আটকে কোনও পুজো কমিটি চাঁদা আদায় করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement