পুজোর চারদিন বিকেল থেকে জলপাইগুড়ি শহরে চলবে না টোটো। যানজট রুখতে লাগাম পরানো হয়েছে চারচাকা যানবাহনের গতিবিধিতেও। আজ, ষষ্ঠী থেকেই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক পুলিশের তরফে শহরের নানা জায়গায় এই বিষয়ে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এমনিতেই টোটোর জন্য শহরের রাস্তায় প্রতিদিন যানজট হয় বলে অভিযোগ। পুজোর কটা’দিন রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। এই অবস্থায় শহরে টোটো বা চারচাকার যানবাহন চলাচল করলে যে যানজট হবে তা সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে পুলিশের পক্ষে। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভা বৈঠক করেছে।
দিন কয়েক আগেই টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে একটি রুট ম্যাপ প্রকাশ করেছিল পুলিশ। তাতে মার্চেন্ট রোডের মত ব্যস্ত রাস্তায় টোটো একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কদমতলার রাস্তা একমুখী করা হয়েছিল।
কিন্তু ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত নতুন নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ ও পুরসভা। বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টোটো চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে। পুলিশের নির্দেশ ভেঙে রাস্তায় কোনও টোটো ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সদর ট্রাফিক ওসি শান্তা শীল।
চারচাকা যান রাখতে পাঁচটি পার্কিং জোন তৈরি করেছে পুরসভা। সেই জোনের সবকটিই জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। বাসিন্দারা গাড়ি নিয়ে সেই জোনগুলোতে রেখে, হেঁটে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যেতে পারবেন। কিন্তু চারচাকা গাড়ি নিয়ে শহরের মধ্যে যেখানে সেখানে যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ এনেছে পুলিশ ও পুরসভা। শহরের প্রধান সড়কগুলো নয়, যেসব অলিগলিতে বড় মাপের পুজো রয়েছে সেখানেও এই নিয়ম থাকছে। পুজোর জন্য শহরের যে পাঁচটি জায়গায় অস্থায়ী পার্কিং জোন তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো হল বিশ্ববঙ্গ ক্রীড়াঙ্গন, রাজবাড়ি পার্ক, ৩নম্বর ঘুমটি, নেতাজি পাড়া ময়দান এবং অসম মোড়ে। যারা পুজো দেখতে চারচাকার গাড়ি নিয়ে বের হবেন, তাঁদের যাতে গাড়ি রাখতে অসুবিধে না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান মোহন বসু। এইসব পার্কিং জোনগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকছে। সেখানে গাড়ি রেখে নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারবেন বাসিন্দারা।
নিরাপত্তার জন্য শহর এবং শহরতলি এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে ২৯টি এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি অকেজো হয়ে পড়েছিল। সেগুলোও সারাই করা হয়েছে। পুলিশের সহায়তা কেন্দ্র থাকছে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে। মণ্ডপেও নজরদারিতে মোতায়েন থাকবেন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা।