অভিযোগ প্রত্যাহার পর্যটকের

ডুয়ার্সের হোটেল থেকে নগদ টাকা সোনা ও এটিএম কার্ড চুরি যাওয়ার অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন বর্ধমানের পযর্টক। বুধবার আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত প্রত্যাহার পত্র জমা পড়ে। গত ২৯ মার্চ আলিপুরদুয়ার চৌপথীর কাছে একটি হোটেলে উঠেছিলেন বর্ধমানের বুদবুদ থানার চন্ডীপুরের বাসিন্দা শিবশঙ্কর ভট্টাচায ও তার স্ত্রী ও নয় বছরের মেয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৬
Share:

ডুয়ার্সের হোটেল থেকে নগদ টাকা সোনা ও এটিএম কার্ড চুরি যাওয়ার অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন বর্ধমানের পযর্টক। বুধবার আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত প্রত্যাহার পত্র জমা পড়ে। গত ২৯ মার্চ আলিপুরদুয়ার চৌপথীর কাছে একটি হোটেলে উঠেছিলেন বর্ধমানের বুদবুদ থানার চন্ডীপুরের বাসিন্দা শিবশঙ্কর ভট্টাচায ও তার স্ত্রী ও নয় বছরের মেয়ে। অভিযোগ, মঙ্গলবার হোটেল ছাড়ার সময় দেখেন তাদের ব্যাগের ভেতর রাখা ছোট একটি ব্যাগ উধাও তাতে নগদ ১১হাজার টাকা, একটি সোনার চেন ও দুটি এটিএম কার্ড ছিল। ঘটনাটি শুনে সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক সমীরণ মন্ডল। বুধবার ট্রেনে উঠে বাড়ি ফেরা সময় ওই পযটক জানান, বর্ধমান থেকে আলিপুরদুয়ার ওই মামলাটি জন্য আসা সম্ভব নয়। তা ছাড়া পুলিশের কাছ থেকেও কোন সাহায পাননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক সমীরণ মন্ডল বলেন, “আলিপুরদুয়ার পযটকদের জন্য নিরাপদ। পযটকদের পাশে পুলিশ ও প্রশাসন রয়েছে। পুলিশকে পযটকদের চুরির ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ প্রত্যাহার বিষয়টি ওঁর ব্যক্তিগত।”

গত ২৫ মার্চ বর্ধমান থেকে শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য পরিবার নিয়ে এনজেপিতে আসেন সেখান থেকে উনি দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যান। ২৯ মার্চ তিনি আলিপুরদুয়ারে একটি হোটেলে ওঠেন। ৩১ তারাখি হোটেল ছাড়ার সময় জানতে পারেন তার ব্যাগে রাখা টাকা, সোনার হার ও এটিএম কার্ড উধাও। শিবশঙ্কর বাবু বলেন, “আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক সমীরণ মন্ডল ও এক বাসিন্দা বিজয় রায় আমাকে সাহাজ্য করেছেন। আমার খাওয়ার ব্যবস্থা থেকে রাতে থাকা ট্রেনের টিকিট কেটে দেন। বর্ধমান থেকে আলিপুরদুয়ারে এসে চুরির বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয় তাই অভিযোগ প্রত্যাহার করেছি। মঙ্গলবার বিকেলেই ওই প্রত্যাহার পত্র বিজয় বাবুকে দিয়েছিলাম। তবে আলিপুরদুয়ার থানার কাছে বিশেষ সাহায্য পাইনি। উল্টে অভিযগ দিতে গিয়ে আমাকে নানা ভাবে প্রশ্ন করা হয়। মনে হয়ে যেন আমিই চুরি করেছি। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন,“পযটক শিবশঙ্কর বাবুর সঙ্গে কোন পুলিশকমী র্খারাপ ব্যবহার করেননি। নিয়ম মেনে পুলিশকর্মীরা কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে ওই পটক অসংলগ্ন কথা বলেছিলেন। পরে নিজেই অভিযোগ প্রত্যাহারের কথা বলেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন