ডুয়ার্সে ঘুরতে এসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পর্যটকদের। ঘটনায় উদ্বিগ্ন ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন ও হোটেল মালিকরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা ঘুরতে এসে পর্যাপ্ত খাবার বা চুক্তি অনুযায়ী ঘুরতে পারছেন না বলে অভিযোগ। কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজের প্রায় ৫৫ জন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা একই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন আলিপুরদুয়ারে। পরে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক ও হোটেল মালিকরা তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
চারুচন্দ্র কলেজের শিক্ষিকা ময়ূখমালা মণ্ডল জানান, গত বুধবার তাঁরা আলিপুরদুয়ারে আসনে। ৬৫ জনের দলটির জন্য কলকাতার এক ট্যুর অপারেটর চুক্তি করেছিল। চুক্তির নব্বই শতাংশ টাকা অগ্রিম নিয়ে নিলেও খাওয়া নিম্নমানের। প্রাতরাশ দেওয়া হচ্ছিল না। খবর পেয়ে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী ও আলিপুরদুয়ারের হোটেল মালিকরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করেছেন তাঁরা।
সৌরভ জানান, বিষয়টি লজ্জার। বাইরের ট্যুর অপারেটর যে ভাবে পর্যটকদের সঙ্গে ব্যবহার করছেন, তা পর্যটনের পক্ষে ক্ষতিকারক। তিনি দাবি করেন, ‘‘বিষয়টি জানা মাত্র দলের লোকেরা ওই কলেজের দলটির সঙ্গে যোগাযোগ করে খাওয়া ও ঘোরার ব্যবস্থা করে। সমানে ডুয়ার্স উৎসব, যার মূল লক্ষ্য পর্যটনের প্রসার। যাতে পর্যটকরা ঠিক ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘুরতে আসে, তা নিয়ে প্রচার চালাব।’’
আলিপুরদুয়ারের হোটেল মালিক সংগঠনের তরফে সুনীল পাল জানান, ওই পর্যটক দলটি একটি হোটেলে উঠেছিল। কিন্তু ট্যুর অপারেটর ঠিক ব্যবস্থা করেনি জানার পর বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সচিব বিপ্লব দে জানান, ‘‘এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে। বাইরের ট্যুর অপারেটর এখানে স্কুল কলেজগুলিকে ঘুরতে নিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করছেন না।’’
অভিযুক্ত ট্যুর অপারেটর সৌম্য দে দাবি করেন, ‘‘অভিযোগ মিথ্যে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন। কিন্তু কলেজের পড়ুয়ার তা মানতে চায়নি।’’