লাইনচ্যুত: ট্রেনের বগি
ফের বিভ্রাট টয় ট্রেন পরিষেবায়। দার্জিলিং থেকে এসে কার্শিয়াং স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেনের বগি। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি ট্রেনটির তিনটি কামরার শেষ কামরাটি স্টেশনের সামনের একটি দেওয়াল ও গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে। তাতে ভেঙে গিয়েছে গার্ডওয়ালটি। রেল সূত্রের খবর, সেই সময় ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিল না। বুধবার ট্রেনটিকে নিয়ে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত জয়রাইডের কথা ছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার জন্য ঘণ্টা দুয়েক পিছিয়ে যায় নির্ধারিত সময়সূচি।
স্টেশনের সামনে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে লাইন থেকে মঙ্গলবার রাতে কামরাটিকে সরানো হয়নি। রাতভর ওই ভাবেই থাকার পরে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ টাকা লাইনে তুলে কামরাটিকে স্টেশনে ঢোকানো হয়। তারপরে স্বাভাবিক হয় টয়ট্রেন পরিষেবা। কিন্তু রাতভর জাতীয় সড়কের উপর কামরাটি পড়ে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং হয়ে দার্জিলিং যেতে গাড়িগুলোকে ওই এলাকায় ধীরে চলতে হয়েছে। দার্জিলিংয়ের দু’টি জয়রাইড, কার্শিয়াং-দার্জিলিং সাধারণ টয়ট্রেনটিও দেরিতে চলেছে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধিকর্তা এমকে নার্জারি বলেন, ‘‘বিষয়টি খুব বড় কিছু নয়। লাইন থেকে কামরা নেমে যাওয়ার খবর এসেছিল। তা সামাল দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। আমি বাইরে আছি, ফিরে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেব।’’ অফিসারদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
২০১৮-র মে’তে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িগামী একটি টয়ট্রেন স্টেশনের সামনেই লাইনচ্যুত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে ঘুম-জোরবাংলো এলাকায় টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তবে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা হয়েছিল ২০১৭র জানুয়ারিতে। মহানদী এবং কার্শিয়াং স্টেশনের মাঝে কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ইঞ্জিনও প্রায় উল্টে গিয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় পাঁচজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।
পর্যটকদের একাংশের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি লাইনে সমস্যাও হয়েছে। কার্শিয়াং স্টেশনের সামনে লাইনের একাংশ জাতীয় সড়কের মধ্যে রয়েছে। যার উপর দিয়ে দিনরাত গাড়ি চলাচল করে। তাতে লাইনের উপর নিয়মিত চাপ পড়ে। রেল জানিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।