বিভ্রাট: সুকনা স্টেশনে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে টয়ট্রেন। নিজস্ব চিত্র
ফের টয়ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হল। শুক্রবার সকালে সুকনা স্টেশনের অদূরে। দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রী তথা পর্যটকরা। ট্রেন একবার সারিয়ে কিছুটা রওনা হওয়ার পরে ফের খারাপ হয়ে যায়। দ্বিতীয় দফায় ঠিক করার পরে সেটি আবার রওনা হয়।
এ বার শীতে পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেছেন। তুষারপাতের খবর শুনেও এসেছেন অনেকে। তাঁদের কেউ কেউ টয়ট্রেনে চড়তেও আগ্রহী। আর এই সময়ই বারবার বিকল হচ্ছে ট্রেন।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের এক অফিসার জানান, ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলের ইঞ্জিনিয়ররা টয়ট্রেনের সব ক’টি ইঞ্জিন নিয়মিত পরীক্ষা করেন। তার পরেও কেন এমন হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহু দিন বন্ধ থাকার পরে টয়ট্রেন চালানো শুরু করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারাও টয়ট্রেনের সফর উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন। স্বভাবতই রোজ বাড়ছে ভিড়।
কিন্তু, মাঝে মধ্যেই ট্রেন বিকল হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বেলাইন হয়ে পড়ে টয়ট্রেন। সে যাত্রায় দীর্ঘক্ষণ রংটংয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেন। সে সময়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
এ দিন ফের সুকনায় টয়ট্রেন থমকে যাওয়ায় যাত্রীরা বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। শিলিগুড়ির মদন দাস টয়ট্রেনে চড়া উপভোগ করতে গিয়ে দু-দফায় থমকে গিয়ে হতাশ। তিনি বলেন, ‘‘এত খরচ করে টয়ট্রেনে চেপে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। দীর্ঘ ক্ষণ সুকনা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকায় তা আর সম্ভব হয়নি।’’ কলকাতার পর্যটক অসিত দাস বলেন, ‘‘এটা নিয়ে দু’বার টয়ট্রেনে চড়লাম। আগের দিন রংটংয়ে ট্রেন থমকে গিয়েছিল। আজ সুকনায় বিকল হল। দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। টয়ট্রেনের ইঞ্জিনের নিয়মিত তদারকি হয় বলে তো মনে হয় না।’’