তৈরি: জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের ভবন। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে ঢোকার মূল রাস্তা দেখছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। তখন তিনি বলেন, ‘‘এখান দিয়ে এত গাড়ি যায়!’’ শোনার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘কোনও সমস্যা হবে না স্যার। এখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’’
রবিবারের এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেই সোমবার সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের দিনও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে শহরের ট্যাফিক ব্যবস্থা পাল্টাতে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। এ বার থেকে শহরের ভিতরের রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে আসছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
হাইকোর্টের অস্থায়ী ভবন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া। স্টেশন রোড নামে পরিচিত এই রাস্তা দিয়ে ডুয়ার্স রুটের সরকারি-বেসরকারি বাস অহরহ যাতায়াত করে। পিক-আপ ভ্যান থেকে শুরু করে ট্রাকও চলাচল করে। হাইকোর্টের অস্থায়ী ভবনে ঢোকা এবং বের হওয়ার চারটি গেট করা হয়েছে। সবকটি এই রাস্তার উপরেই। একটি দিয়ে বিচারপতিরা ঢুকবেন। বাকিগুলি হাইকোর্টের আধিকারিক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীরা ব্যবহার করবেন। সার্কিট বেঞ্চে প্রতিদিনই ভিড় হবে, এই রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি, বাস যাতায়াত করলে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছে প্রশাসন। সে কারণে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ওই রাস্তায় কোনও বড় গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে কারণে শিলিগুড়ি হোক বা ডুয়ার্স সব বাসই শহরের একপাশ দিয়ে যাতায়াত করবে।
হাইকোর্টের অস্থায়ী ভবনের রাস্তায় টোটো চলাচলও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি টাউন স্টেশনে বের হওয়ার রাস্তা একমুখি করে দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের একটি সূত্রে। ওই ভবনে গেটের সামনের রাস্তা শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য ঘোষণা করার প্রস্তাবও রয়েছে। সার্কিট বেঞ্চ লাগোয়া রাস্তার আরও সম্প্রসারণের নির্দেশ এসেছে। গত রবিবার পরিদর্শনে এসে প্রধান বিচারপতি সহ প্রতিনিধি দল যে সব রদবদলের নির্দেশ দিয়েছেন তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, যে ভাবেই হোক ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে।