জলপাইগুড়ি কদমতলা

কালভার্ট তৈরি ঘিরে যানজট

শহরের ব্যস্ততম কদমতলায় কালভার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে যানজট হচ্ছে নিত্যদিন। তাই বিপাকে ব্যবসায়ীরা। যানজট মোকাবিলায় বিকল্প রাস্তা থাকলেও সেখান দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ জলপাইগুড়ির কদমতলার চার মাথার মোড়ে ৪ নম্বর গুমটির দিকে যাওয়ার রাস্তার ওপর পুরসভার একটি কালভার্ট তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৭
Share:

এই কালভার্ট তৈরি ঘিরেই নিত্য ভোগান্তি জলপাইগুড়ি কদমতলায়। ছবি: সন্দীপ পাল

শহরের ব্যস্ততম কদমতলায় কালভার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে যানজট হচ্ছে নিত্যদিন। তাই বিপাকে ব্যবসায়ীরা। যানজট মোকাবিলায় বিকল্প রাস্তা থাকলেও সেখান দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

গত এক সপ্তাহ যাবৎ জলপাইগুড়ির কদমতলার চার মাথার মোড়ে ৪ নম্বর গুমটির দিকে যাওয়ার রাস্তার ওপর পুরসভার একটি কালভার্ট তৈরি করা হচ্ছে। চার নম্বর গুমটির দিকে যাওয়ার রাস্তাটি অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে শিলিগুড়িগামী যাবতীয় বাস যায়। ৪ নম্বর গুমটি, সেবাগ্রাম, চাউলহাটি এবং বাহাদূর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে যে সমস্ত বাসিন্দা আসেন তারাও এই রাস্তাটিই ব্যবহার করেন। কদমতলার মোড়ের এই স্থানটি তাদের পার হতেই হয়।

শহরের এরকম একটি ব্যস্ত রাস্তার একটা মুখ বন্ধ করে একদিকের কালভার্ট তৈরি হচ্ছে। তাই মোড়ের মাথায় এসে দু’পাশের যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ছে। কদমতলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পরিতোষ রাহা বলেন, “লক্ষ্মণ মৌলিক সরনী দিয়ে এক দিকের যানবাহন ঘুরিয়ে দিলেই যানজট সমস্যা আংশিকভাবে মিটবে। পুরসভা যদি বিষয়টি বিবেচনা করে তাহলে ভাল হয়। কারণ কালভার্টটি একদিনে তো আর তৈরি হবে না। সময় লাগবে। সাময়িকভাবে লক্ষ্মণ মৌলিক সরনী ব্যবহার করা যেতে পারে।”

Advertisement

কদমতলা মোড় থেকে ১৫০ মিটার দূরে এই লক্ষ্মণ মৌলিক সরনীর রাস্তাটি সমান্তরালভাবে সোজা গিয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার বাসস্ট্যান্ডের কাছে কদমতলার মোড় থেকে যাওয়া রাস্তাটির সঙ্গে মিশেছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন এই রাস্তাটি দিয়ে যে সমস্ত যানবাহন ৪ নম্বর গুমটি থেকে আসছে তারা আসতে পারবে। যাওয়ার সময় কদমতলার মোড়ের একটি রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে। তা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা কালভার্ট তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করারও দাবি জানিয়েছেন।

জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “লক্ষ্মণ মৌলিক সরনী দিয়ে সরকারি বড় বাসগুলি আসতে পারবে না। বাকি যানবাহন আসতে পারবে। বিষয়টি নিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কালভার্ট তৈরির কাজও দ্রুত শেষ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন