মালদহগামী ট্রেনে ডাকাতি

মালদহগামী আপ জামালপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে একটি কামরায় যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠ করে পালাল একদল সশস্ত্র ডাকাত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৭
Share:

মালদহগামী আপ জামালপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে একটি কামরায় যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠ করে পালাল একদল সশস্ত্র ডাকাত।

Advertisement

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ফরাক্কা–বারহারোয়ার মাঝে বনিডাঙা স্টেশনের কাছে ট্রেনটির সাধারণ কামরায় ডাকাতির সময় জনা ৪০ যাত্রী ছিলেন। ছিলেন জনা আটেক মহিলাও। যাত্রী অমিত বিশ্বাস জানান, এদিন ঝাড়খণ্ডের বারহারোয়া স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ালে জনা দশেক দুষ্কৃতী ট্রেনের শেষ দিকের থেকে চতুর্থ কামরায় উঠে পড়ে। ট্রেনটি চলতে শুরু করতেই লুঠপাট শুরু করে তারা। তিনি বলেন, ‘‘আমার কপালেও রিভলভার ঠেকিয়ে মোবাইল ও হাজার খানেক টাকা কেড়ে নেয়। প্রত্যেকের হাতে ছিল রিভলভার, ছেনি।’’ কয়েক জন যাত্রী দিতে অস্বীকার করলে তাদের চড় থাপ্পড়ও মারা হয়। বাদ যাননি মহিলারাও। মিনিট দশেকের মধ্যে বনিডাঙা স্টেশনের কাছে ট্রেনের গতি কমতেই তারা নেমে যায়। রেল পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

কামরার আর এক যাত্রী সঞ্জীব মন্ডল বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের বেশিরভাগেরই মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা ছিল। সকলেরই বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। ওরা বারহারোয়া থেকে ট্রেনে উঠেছিল। প্রচন্ড বৃষ্টির হচ্ছিল। বারহারোয়া থেকে ট্রেন ছাড়তেই ওরা লুঠপাট শুরু করে। পরে বনিডাঙা স্টেশনের কাছে ট্রেনের গতি কমতেই ওরা লুঠপাট চালিয়ে নেমে পড়ে। আমাদের পরের কামরাতেই রেল পুলিশ থাকা সত্ত্বেও চিৎকার শুনে তারা কেউ এগিয়ে আসেনি।’’ পরে নিউ ফরাক্কা স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে রেল পুলিশের কাছে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। সেখানেই ডাকাতির অভিযোগ জানান তাঁরা। আজিমগঞ্জ রেল পুলিশের ওসি তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বনিডাঙা স্টেশনটি ঝাড়খণ্ডের বারহারোয়া রেল পুলিশের অধীনে। তবে যাত্রীরা নিউ ফরাক্কা স্টেশনে এসে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন