জেলা পরিষদে তৃণমূলের অনাস্থা পাশ

কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেঁধেও রুখতে পারলো না। ম্যাজিক ফিগার ৩৪ জোগাড় করে বুধবার মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেসি সহকারী সভাধিপতিকে অনাস্থার মাধ্যমে সরিয়ে দিল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৬
Share:

কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেঁধেও রুখতে পারলো না। ম্যাজিক ফিগার ৩৪ জোগাড় করে বুধবার মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেসি সহকারী সভাধিপতিকে অনাস্থার মাধ্যমে সরিয়ে দিল তৃণমূল। এ দিন জেলা পরিষদের একাধিক স্থায়ী সমিতি থেকেও ১১ জন কংগ্রেসী সদস্যকে অপসারণ করল তারা। যাঁদের মধ্যে একাধিক কর্মাধ্যক্ষ ও বিধায়কও রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবারও আরও ১২ জন সদস্যকে অপসারণের জন্য ফের তলবিসভা রয়েছে।

Advertisement

এ দিন তৃণমূলে নাম লেখানো গাজোলের বিধায়ক দিপালী ঘোষ কিন্তু ওই ভোটাভুটিতে অংশ নেননি। সম্ভবত দলবিরোধী আইনের কোপে পড়তে পারেন ভেবে দলই তাকে বিরত রেখেছে। কয়েকদিন আগে ইংরেজবাজারের নির্দল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ শেষমেশ না যাওয়াতেই নাকি কংগ্রেস-সিপিএম তলবিসভা থেকে রণে ভঙ্গ দিয়েছিল। এ দিন সেই নীহারবাবুরই সমর্থন নিয়ে অনাস্থা পাশ করালো শাসকদল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, নীহারবাবুর এ দিনের এই সমর্থনের জেরে ইংরেজবাজার পুর প্রধানের পদ থেকে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে অপসারণের দাবি কী আরও জোরদার হল? কেননা, নীহারবাবু নাকি শর্তই দিয়েছেন, কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ওই পদ থেকে অপসারণ করলে তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন। নীহারবাবু অবশ্য এদিন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলব না। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বই বিষয়টি দেখছে।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা ম্যাজিক ফিগার জোগাড় করেই অনাস্থা পাশ করেছি। জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নূর বলেন, ‘‘আমাদের দল ভাঙিয়েই এ দিন তৃণমূল অনাস্থা পাশ করালো।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘দল ভাঙার রাজনীতি বজায় রাখল শাসকদল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন