—প্রতীকী চিত্র।
দুর্নীতির তথ্য চাওয়াকে ঘিরে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরেই শাসকদলের সঙ্গে সংগ্রেস ও সিপিএমের প্রধান সহ সদস্যা-সদস্যাদের ধ্বস্তাধ্বস্তি ও হাতাহাতির ঘটনায় ধুন্দুমার কাণ্ড বাঁধল। পাশাপাশি উঠল সিপিএমের মহিলা প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির দুই তৃণমূল সদস্যার শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও।
ঘটনার পর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা। মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতে সোমবার দুপুর থেকেই ওই ঘটনাকে ঘিরে তেতে ওঠে গোটা এলাকা। তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী সহ পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্য তাঁর উপরে চড়াও হয়ে হামলা চালায় বলে প্রধানের অভিযোগ।
পাশাপাশি দুর্নীতির তথ্য দেওয়া এড়াতে প্রধানের স্বামী ও কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান মহবুবুল হক তৃণমূলের দুই সদস্যাকে হেনস্থা করে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেন বলে অভিযোগ।
বিকালে পুলিশ নিয়ে এলাকায় যান জয়েন্ট বিডিও। তবে সন্ধে পর্যন্ত পঞ্চায়েতের সামনে থেকে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ ওঠেনি।
চাঁচলের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জয়েন্ট বিডিওকে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বাকিটা পুলিশ দেখবে।’’
পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিপিএম চালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সহ স্বজনপোষণের একাধিক অভিযোগে ৩০ নভেম্বর স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল। তখন ১১ ডিসেম্বর তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তা নিতে এদিন পঞ্চায়েত সমিতির চার তৃণমূল সদস্য লিপিকা খাতুন, গুলশনারা বিবি, অচিন্ত্য ঘোষ, ইকবাল হোসেন সহ কয়েকজন সেখানে পৌঁছতেই ধুন্দুমার বেঁধে যায়।
প্রধান জাহানারা বিবির দাবি, ‘‘লিপিকাদেবীর স্বামী সহ পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্যই তো আমাকে হেনস্থা করে। এখন উল্টো অভিযোগ তুলছে।’’
যদিও চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ইনতাজ হোসেন বলেন, ‘‘তাঁরা মিথ্যে কথা বলছেন। দুর্নীতির ফাঁসের ভয়ে তথ্য না দেওয়ার জন্য আগে থেকেই ওরা দুষ্কৃতী জড়ো করে রেখে হামলা চালিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির দুই মহিলা সদস্যাকেও তাঁরা চূড়ান্ত হেনস্থা করেন।’’