ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও পাসবুক পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। ডুয়ার্সের বানারহাটের ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠেছে। পাসবই না থাকার কারণে শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রীর টাকা পেতে সমস্যায় পড়েছে স্কুলের পড়ুয়ারা। এই হয়রানিতে ক্ষুব্ধ বানারহাটের কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক, পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা।
সরকারের পক্ষ থেকে পড়ুয়ারা শিক্ষাশ্রী ও কন্যাশ্রীর টাকা যাতে পায় তার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ পাসবইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠায়। তারপরে সেই পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে যায়। বানারহাটের পড়ুয়াদের পাসবই না থাকায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না।
পড়ুয়ার অভিভাবকদের অভিযোগ, পাঁচ-ছয় মাস ধরে ব্যাঙ্কে ঘুরেও পাসবই পাচ্ছি না। উল্টে পাসবইয়ের খোঁজে ব্যাঙ্কে গেলে ব্যাঙ্কের কর্মীরা খারাপ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ। কোনও কোনও ব্যাঙ্ককর্মী অন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ।
বানারহাট হাই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক কৌশিক শীল জানান, “বার বার ব্যাঙ্কে গিয়েও পাসবই পাইনি। ব্যাঙ্কের কর্মী বা ম্যানেজারের কাছে ওই বইয়ের খোঁজ করলে অভব্য ব্যবহার করছেন। প্রায় ছ’মাস ধরে ঘুরছি। এখনও কাজ হয়নি।”
বানারহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, “শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রীর সরকারি টাকা সরাসরি পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়।’’ এ দিকে পাসবই না পাওয়ায় অনেক পড়ুয়া তাদের পাসবইয়ের জেরক্স স্কুলে জমা করতে পারছে না। ফলে স্কুলকেও তার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই কারণে থমকে রয়েছে গোটা প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে গিয়ে ব্যাঙ্কে কথা বললেও কোনও কাজ হয়নি। ব্যাঙ্ক যে কেন এত দেরি করছে তা বুঝতে পারছি না।’’
বানারহাটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে চাননি। ওই ম্যানেজার দীপক সিংহ শুধু জানান, “অনেক দিন ধরে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট বই আসছে না। ”