১ কোটি দামের হাতির দাঁত নিয়ে ধৃত দুই

এক কোটি টাকা বা তারও বেশি মূল্যের প্রায় সাড়ে ১০ কেজি হাতির দাঁতের টুকরো সহ দুই জনকে গ্রেফতার করলেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) অফিসারেরা। ধৃতদের মধ্যে এক জন তরুণী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:০৮
Share:

এক কোটি টাকা বা তারও বেশি মূল্যের প্রায় সাড়ে ১০ কেজি হাতির দাঁতের টুকরো সহ দুই জনকে গ্রেফতার করলেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) অফিসারেরা। ধৃতদের মধ্যে এক জন তরুণী।
অসম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় মজুত করার পর হাতির দাঁতগুলি বাংলাদেশে পাচারের ছক কষা হয়েছিল বলে গোয়েন্দারা আদালতে দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তদের এনজেপি স্টেশনে কামরূপ এক্সপ্রেস থেকে ধরা হয়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ধৃতদের হেফাজতে থাকা ব্যাগ থেকে দাঁতগুলি উদ্ধার হয়। শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তদের শিলিগুড়ির এসিজেএম আদালতো তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন। অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিআরআই-র উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের জেরার পরে কলকাতার বাবুভাই নামের এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে। তার সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। তেমনই, উত্তর পূর্বাঞ্চলে কোথাও কোথায় বন্যপ্রাণ চোরা শিকারিরা সক্রিয় তা দেখা হচ্ছে।’’
ডিআরআই-র আইনজীবী ত্রিদিব সাহা জানান, ধৃতেরা দু’জনই অসমের বাসিন্দা, পূর্ব পরিচিত। কামরূপ এক্সপ্রেসের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (বি-২) কামরার দু’টি আসনে অভিযুক্তরা ছিলেন। বিশেষ কাজে কলকাতা যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা স্টেশনে অভিযান চালান।
তদন্তকারী গোয়েন্দা অফিসারেরা জানিয়েছেন, ধৃতদের নাম নজরুল ইসলাম এবং দীপালি রংপিপি। অসমের হোজাই জেলার ডোবোকা পুলিশ স্টেশন এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছে একটি হাতব্যাগ এবং আরেকটি পিঠের ব্যাকপ্যাক ছিল। সেখানে ছয় টুকরো দাঁত খয়েরি টেপ দিয়ে মুড়ে রাখা ছিল। সব মিলিয়ে ওজন হয়েছে ১০.৪৪৯ কেজি। আন্তর্জাতিক বাজারে যার বাজার মূল্য ১ কোটি পাঁচ লক্ষ টাকার মতো। রাতে টানা জেরার পর কয়েকজনের নাম এবং দাঁতগুলি কোথা থেকে এসেছে তা জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি অসমের কার্বি আলং-এর জঙ্গলে একটি পূর্ণ বয়স্ককে দাঁতালকে শিকারের পর বুনোটির দু’টি দাঁত কেটে নেওয়া হয়। হোজাই হয়ে অসমের নলবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে এনে তা লুকিয়ে রাখা হয়। পরে তা পরিবহণের সুবিধার জন্য ছয়টি টুকরো করা হয়। তার পরে গতকাল ডিব্রুগড় থেকে হাওড়া যাওয়ার ট্রেনটিতে দু’জনে চেপে বসেন। ব্যাগগুলি আসনের নীচে লুকিয়ে রাখা ছিল।
জেরার পর অভিযুক্তরা গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন, কলকাতায় ব্যাগগুলি পৌঁছে দিয়ে ফের ট্রেনে তাদের অসমে ফিরতে বলা হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কোনও দেশে তা পাঠানোর কথা শোনা গিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন