চোপড়ার ভারত বাংলাদেশের ফতেপুর সীমান্ত এলাকায় সুড়ঙ্গ পথ তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত দু’জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার ওই দুই জনকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসলামপুরের এসডিপিও কুন্দর ভূষণ সিংহ বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকাতে সুড়ঙ্গ তৈরির মামলায় অভিযুক্ত ওই ধৃতরা. তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।’’
সম্প্রতি চোপড়ার ভারত বাংলাদেশের ফতেপুর সীমান্ত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত চা বাগানের মধ্যে সুড়ঙ্গের সন্ধান পায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর পরই চোপড়া থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরই মামলা রুজু করে তদন্তের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি ইসলামপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল চোপড়ার দিঘলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মাফিজ ও জাতরা এলাকার বাসিন্দা অপর ধৃত।
তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা দিয়েই সেই সুড়ঙ্গ পথ খোঁড়া হয়েছিল। ধৃতদের সঙ্গে বাংলাদেশি পাচারকারীদের যোগাযোগ রয়েছে কি না সেই বিষয়ে অনেক তথ্যই মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওই সুড়ঙ্গপথটি বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। আরও কোনও সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে কি না তাও খুজে দেখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে। পুরো এলাকার উপর নজরদারিও বেড়েছে বলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।