ধর্ষণের নালিশে ধৃত দুই

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে মায়ের সঙ্গে মালদহে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন কুড়ি বছরের ওই যুবতী। চার দিন সেখানে কাটানোর পর তিনি যান দক্ষিণ দিনাজপুরে, মাসির বাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি

অসম থেকে মালদহে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে ওই যুবতীর মামি বামনগোলা থানায় কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি, জানিয়েছে পুলিশ। ওই যুবতী বৃহস্পতিবারও মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তিনি বিপদমুক্ত। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ওই যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম বিকাশ বিশ্বাস ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ তদন্তের সূত্রেই এ দিন দুপুরে বামনগোলা থানার পুলিশ এসে ওই যুবতীর সঙ্গে কথা বলেছে। বামনগোলা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানা এলাকায়। বিশ্বজিতের বাড়ি মালদহে। ওই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে মায়ের সঙ্গে মালদহে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন কুড়ি বছরের ওই যুবতী। চার দিন সেখানে কাটানোর পর তিনি যান দক্ষিণ দিনাজপুরে, মাসির বাড়িতে। অভিযোগ, পাশের গ্রামের দুই যুবক তাঁকে মালদহের পাকুয়াহাটে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। পরিবারের অভিযোগ, তারা সকলে মিলে একটি গাড়িতে চেপে বেরিয়ে যায় মঙ্গলবার সকালে।

মামার পরিবারের দাবি, রাতভর তাঁরা ওই যুবতীর খোঁজ পাননি। বুধবার সকালে ওই যুবতীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সন্দেহ, তাঁকে কোনও নেশার ইঞ্জেকশন দেওয়া হতে পারে। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবতীকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার গভীর রাতে যুবতীর এক মামি বামনগোলা থানায় অভিযোগ করেন, বিকাশ বিশ্বাস ও তার আর এক সঙ্গী মিলে ভাগ্নিকে একটি গাড়িতে তুলে পাকুয়াহাটের দিকে যায়। ভাগ্নিকে উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ানোর পাশাপাশি নেশার কোনও ইঞ্জেকশন দিয়ে অচৈতন্য করা হয় বলেও দাবি করেন মামি। তাঁদের আরও অভিযোগ, একাধিক বার গণধর্ষণ করা হয় ওই যুবতীকে। নালাগোলার আর এক যুবকও তাদের সঙ্গে ছিল বলে দাবি মেয়েটির মামির।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে কখনও মাঠে কখনও অন্ধকার ঘরে নিয়ে কয়েক জন মিলে ধর্ষণ করে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই যুবতীর মামির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার পরেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে বাকিদেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন