প্রতীকী ছবি
‘দিদির স্নেহ তলে ফিরতে চান,’ বলে শনিবার টুইটে ইচ্ছে প্রকাশ করেন সোনালী গুহ। সেইদিনই ‘ঘরওয়াপসির’ ইচ্ছে প্রকাশ করলেন গৌড়বঙ্গের পদ্ম শিবিরের দুই নেতা-নেত্রী। এঁদের একজন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের অমল আচার্য এবং অপরজন হলেন মালদহের সরলা মুর্মু। তাঁদের ইচ্ছে প্রকাশ্যে আসতেই হইচই দুই জেলারই তৃণমূল ও বিজেপির অন্দরে।
এ বার বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে পদ্মে যোগ দেন বড়, মাঝারি, ছোট অনেক নেতাই। তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই পদ্ম ছেড়ে ঘরে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশের তালিকা যেন ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। এ দিনই প্রকাশ্যে টুইট করে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সোনালী গুহ। তাঁর সুরেই যেন সুর মিলিয়েছেন ইটাহারের অমল। তাঁকে এবারে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। নিজের গড়ে দলের হয়ে প্রচার করেও বিজেপিকে জেতাতে ব্যর্থ হন অমল। ব্যাপক ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। ফের দলে ফেরার জন্য তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠিও দেন অমল। তিনি বলেন, ‘‘ভুল বুঝে অভিমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি কিছুদিন আগে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছি। রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।’’
টিকিট পেয়েও দলবদলে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মালদহের সরলা মুর্মু। তাঁকে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিল দল। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের দাবি, সরলাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কর্মী-সমর্থকেরা সরলার হয়ে দেওয়াল লিখনও শুরু করেছিলেন। প্রার্থী হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেন সরলা। তবে প্রার্থী না হলেও ভোটে বিজেপি সেখানে জেতে। এখন ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি। তাঁর স্বামী সিরিল টুডু বলেন, ‘‘ভুল বুঝিয়ে আমার স্ত্রীকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন আমরা সেই ভুল বুঝতে পেড়েছি। দলের জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা না হলেও মাধ্যমের সাহায্যে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করা হয়েছে।’’
তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম নুর বলেন, ‘‘সরলা মুর্মু যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তাঁকে দলে নেওয়া উচিত হবে না। তবে সরলাই হোক কিংবা অমল, যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে দলই।’’ বিজেপির উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘কেউ কেউ ফিরতে চাইলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। তবে কে, কোথায় যাবেন তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।’’