সেপটিক ট্যাঙ্ক সাফ করতে গিয়ে মৃত ২

হোটেলের ভিতরে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করতে নেমে দু’জনের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার কামারপাড়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের একজন ওই হোটেলের মালিক দুখু মহান্ত (৫৫)। তিনি কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মৃত অন্যজন হলেন রাজমিস্ত্রি রঞ্জিত বর্মন (৪৫)। তাঁর বাড়ি বালুরঘাটের ডুমরইল এলাকায়। দমকল সূত্রের খবর, গর্তের গ্যাস থেকে ওই রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০২:৩৩
Share:

শোকার্ত পরিজন।—নিজস্ব চিত্র।

হোটেলের ভিতরে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করতে নেমে দু’জনের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার কামারপাড়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের একজন ওই হোটেলের মালিক দুখু মহান্ত (৫৫)। তিনি কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মৃত অন্যজন হলেন রাজমিস্ত্রি রঞ্জিত বর্মন (৪৫)। তাঁর বাড়ি বালুরঘাটের ডুমরইল এলাকায়। দমকল সূত্রের খবর, গর্তের গ্যাস থেকে ওই রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে গর্তে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন হোটেল মালিক দুখুবাবু। বিকেল ৩টা নাগাদ দমকলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে চিকিৎসকেরা ঘোষণা করেন।

Advertisement

বালুরঘাট-হিলি রাজ্য সড়কে কামারপাড়া বাসস্টপ এলাকার রাস্তা চওড়া করার কাজ করছে পূর্ত দফতর। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও দোকান সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। দুখুবাবু ওই এলাকায় ভাতের হোটেল চালান। হোটেলের পিছনে শৌচাগার তৈরির জন্য প্রায় ১২ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে রঞ্জিতবাবু কাজ করছিলেন। কিছুক্ষণ বাদে গর্তের ভিতর থেকে তাঁর চিৎকার শুনে দুখুবাবু ছুটে আসেন। কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে রঞ্জিতবাবুকে উদ্ধার করতে তিনি গর্তে নেমে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দোকানের এক কর্মচারী জানিয়েছেন। সরু গর্তের মধ্যে থেকে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করতে না পেরে দমকলে খবর দেন। এরপর বালুরঘাট থেকে দমকলের একটি গাড়ি গিয়ে প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় ওই দুজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও কাউকেই বাঁচানো যায়নি। দমকলের এক আধিকারিক জানান, বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে গর্তের ভিতরেই রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে মারা যান হোটেল মালিক দুখুবাবু। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই দু’জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দুখুবাবুর পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন