BJP

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে বিক্ষোভের মুখে বিজেপির দুই বিধায়ক! ঘেরাও মিহির-মালতি

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে তুফানগঞ্জ এসডিও অফিসে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। স্মারকলিপি দেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং মালতি রাভা রায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৮
Share:

তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপির দুই বিধায়ককে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তাঁদের অনেকের হাতে লাঠি ছিল। সোমবার এই ঘটনার শোরগোল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে।

Advertisement

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে তুফানগঞ্জ এসডিও অফিসে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। স্মারকলিপি প্রদান করেন বিজেপির নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা রায়। এর পর তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনো মাত্রই পার্টি অফিস ঘেরাও করেন কয়েক জন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন লাঠি নিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন কার্যালয়ের দিকে। চলে স্লোগান, চিৎকার-চেঁচামেচি। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী।

তৃণমূলের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকে বিজেপি বিধায়ক মিহিরকে এলাকায় দেখা যায় না। কোনও প্রয়োজনে তাঁকে পান না সাধারণ মানুষ। সোমবারই তুফানগঞ্জে দেখা যায় বিধায়ককে। তাই তাঁকে কিছু প্রশ্ন করার জন্য সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি রাজেশ তন্ত্রী বলেন, ‘‘নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহিরবাবু। কিন্তু এক জন জনপ্রতিনিধিকে মানুষ প্রয়োজনে ফোনেও পান না। অনেক দিন পর তাঁকে দেখা গিয়েছে। তাই আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিলাম যে কেন তাঁর দেখা পাওয়া যায় না। তাঁর কাছে একটাই প্রশ্ন, ভোটে জেতার পর মানুষের সঙ্গে কেন তিনি প্রতারণা করছেন? সেই প্রশ্নের জবাব চাই।’’

Advertisement

যদিও তৃণমূলের ওই অভিযোগ উড়িয়ে মিহির ভিন্ন দাবি করেছেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘এসডিও অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছি। সেটাই ওদের গায়ে লেগেছে।’’ তিনি জানান, দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন তাঁরা। সেই সময় ‘আক্রমণ’ হয়। মিহির বলেন, ‘‘আচমকা বাইর থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী গালিগালাজ করতে করতে পরিবেশ অশান্ত করেছে। এর থেকে প্রমাণ হয় পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement