অনশনে অসুস্থ দুই পড়ুয়া

গনি খান চৌধুরী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র দায়িত্বভার কেন্দ্রকে নিতে হবে বলে দাবি তুললেন ছাত্রেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ০৮:১১
Share:

চিকিৎসা চলছে। — নিজস্ব চিত্র

গনি খান চৌধুরী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র দায়িত্বভার কেন্দ্রকে নিতে হবে বলে দাবি তুললেন ছাত্রেরা।

Advertisement

রাজ্য সরকার এই কলেজটি অধিগ্রহণে আগ্রহ দেখালেও, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের আক্ষেপ, এই কারিগরি কলেজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কারিগরি কলেজ হওয়ার জন্যই সকলে এখানে ভর্তি হয়েছেন। আর এখন বলা হচ্ছে, কলেজ পরিচালনা করবে রাজ্য সরকার। তাই কেন্দ্র সরকারের শংসাপত্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে গনি খান কারিগরি কলেজের পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুরে লাগাতার অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই ছাত্রছাত্রী। এ দিনই কলেজের তরফ থেকে অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। একজনকে ভর্তি করানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

কলেজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবু নাসের খান চৌধুরী (লেবু) বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার কলেজটি নিয়ে উদ্যোগী হয়নি। তবে আমাদের সরকার সমস্যা সমাধানে সব রকম চেষ্টা করছে। ছাত্র ছাত্রীদের তা বুঝতে হবে।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র নাথ চক্রবতী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন লেবু বাবু ওই কলেজের দায়িত্বে ছিলেন। কেন্দ্রে তাঁদেরই দল ক্ষমতায় ছিল। তারপরেও কেন হয়নি অ্যাফিলিয়েশন।’’

Advertisement

এই কলেজের পড়ুয়ারা গত ১০ জুন থেকে শংসাপত্রের দাবিতে অনশন শুরু করেছে। ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী অনশন শুরু করেছিল। এ দিন তাদের অনশন ১২ দিনে পড়ল। লাগাতার অনশন চালিয়ে যাওয়ার ফলে একাধিক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যার জন্য এখন ১৫ জন পড়ুয়া অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন আবার ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী ও মন্দিরা মণ্ডল নামে দুই পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। কলেজেরই চিকিৎসক শ্যামলকুমার ঝা বলেন, ‘‘অনশনকারীদের অবস্থা ভালো নয়। তাদের রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। মেডিক্যালে রেফার করা হচ্ছে। তবে পড়ুয়ারা যেতে আগ্রহী নয়।’’

এই পরিস্থিতিতে গনিখান চৌধুরী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অচলাবস্থা পরিস্থিতি কাটাতে বুধবার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি পাঠালেন মালদহ জেলার ছয় কংগ্রেস বিধায়ক। মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় এই প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়েছে, কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে প্রতিষ্ঠানটির কোনও পর্ষদের অনুমোদন ছিল না। এর জেরে ছাত্রছাত্রীরা পড়া শেষ করেও শংসাপত্র পাচ্ছে না। আমরা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement