প্রতীকী ছবি।
এনজেপি ও আলুয়াবাড়ি স্টেশনের মাঝে থাকা মাগুরজান স্টেশনে শুরু হয়েছে বৈদ্যুতিকরণের কাজ। তার জেরে বদল এসেছে এনজেপিগামী দার্জিলিং মেল ও কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস দু’টি ট্রেনের রুটেই। গত তিনদিন ধরে এই দু’টি ট্রেন শিলিগুড়ি জংশন হয়ে ঢুকছে এনজেপিতে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই কাজ। এপ্রিলের মধ্যেই এনজেপি পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ করতে চায় রেল। তা হয়ে গেলেই উত্তরবঙ্গ থেকে দিল্লি ও কলকাতায় যাতায়াত করতে পারবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের গাড়ি।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘কাজের জন্য সাময়িকভাবে ট্রেনগুলো শিলিগুড়ি জংশন হয়ে এনজেপি চলাচল করছে।’’ রেলের তরফে একটি নির্দেশ জারি করে এই বদল আনা হয়েছে। তবে কাজের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে এই রুট বদলের মেয়াদ বাড়তে বা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা। রাতের বেলা মাগুরজান স্টেশনে কাজ হচ্ছে না। ঘুরপথে ট্রেন চালানোর জন্য যাত্রী পরিষেবায় কোনও অসুবিধা হচ্ছে না বলেই রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
এ দিকে রুটে সাময়িক বদল হওয়ায় সুবিধে হয়েছে স্থানীয় যাত্রীদের। শহরের মধ্যে শিলিগুড়ি জংশনেই নেমে যেতে পারছেন তাঁরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের মধ্যে ট্রেন থামছে বলে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ যাত্রী শিলিগুড়ি জংশনেই নেমে যেতে পারছেন। ফলে অনেকেই ট্রেনদু’টি যাতে শিলিগুড়ি জংশন হয়ে যাতায়াত করে সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী বাপি সাহা বলেন, ‘‘এনজেপি থেকে শহরে আসতে টোটো বা অটো ধরতে হত। এখন আর তা হচ্ছে না। শিলিগুড়ি থেকেই চলুক দার্জিলিং মেল।’’ রাতের ডাউন ট্রেনগুলি পূর্ব নির্ধারিত রুটেই চলাচল করছে। তবে সমস্যার কথাও বলেছেন যাত্রীদের একাংশ। মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো শিলিগুড়ি জংশনে থামলেও লম্বা প্ল্যাটফর্ম না থাকার জন্য অনেক সময়ই তাঁরা নামতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কিছুদিন আগেই রেলের একটি অনুষ্ঠানে এসে দার্জিলিং মেলকে শিলিগুড়ি জংশন থেকে চালাতে হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরেন্দ্রসিংহ অহলুওয়ালিয়া। যদিও এখনই তা সম্ভব নয় বলে রেল সূত্রে দাবি। কারণ রেলের জমি জবরদখল হয়ে থাকায় তৈরি করা যাচ্ছে না পার্কিংয়ের জায়গা।